Ration Scam: মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুরের চালের বরাত কেন বন্ধ করা হল? আদালতে জবাব দিল রাজ্য

বাকিবুর রহমান। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। এদিকে সেই বাকিবুরের সংস্থাকে চালের বরাত দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই বাকিবুর আবার খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এদিকে রাজ্যের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন বাকিবুরের ভাই। 

সেই মামলায় রাজ্যের তরফে কী জানানো হল? 

সেই মামলায় রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি জানিয়েছে, বাকিবুরের অন্তত ১০০ কোটির সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। নামে, বেনামে ও আত্মীয়দের নামে অন্তত ৯০টিরও বেশি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। অন্তত ৬টি সংস্থায় বাকিবুরের শেয়ার রয়েছে। সেই শেয়ার মিলিয়ে বাকিবুরের সম্পত্তির পরিমাণ  প্রায় ৫০ কোটিরও বেশি। এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেক্ষেত্রে রাজ্যের দাবি, ইডি যাকে গ্রেফতার করেছে, যার নামে বেনামে এত সম্পত্তি তাকে কি বরাত দেওয়া সম্ভব?

তবে মামলাকারীদের দাবি, বাকিবুর এই সংস্থার অন্যতম একটি ডিরেক্টর। অর্থাৎ কয়েকজন ডিরেক্টরের মধ্য়ে তিনিও অন্যতম। সেক্ষেত্রে যারা মামলা করেছেন, আর যারা ডিরেক্টর রয়েছেন কারোর বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনও অভিযোগ নেই। সেক্ষেত্রে কেবলমাত্র বাকিবুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ। তাহলে কেন এই সংস্থার বরাত বন্ধ করে দেওয়া হল? কারণ বাকিবুর ছিলেন এই সংস্থার কেবলমাত্র একটা অংশ। সেক্ষেত্রে এই চালকলের বরাত এভাবে বন্ধ করাটা রাজ্যের ঠিক নয়। কারণ এই সংস্থার অন্যদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আইন অনুসারে যদি তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না থাকে তবে কেন বরাত দেওয়া হবে না? সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। 

এদিকে রাজ্যের যুক্তি একাধিক হোটেল, পানশালা রয়েছে বাকিবুরের। এমনকী বিদেশের তার সম্পত্তি রয়েছে। সেই বাকিবুরকে কি চালের বরাত দেওয়া সম্ভব? রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে মামলা বিচারাধীন হলেও এই সব তথ্য জানার পরেও যদি বাকিবুর ও তার সংস্থাকে চালের বরাত দেওয়া হয় তবে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন উঠে যাবে। 

তবে আদালতের তরফে এখনও রায়দান কিছু করা হয়নি। আপাতত রায়দানকে স্থগিত রাখা হয়েছে। এদিকে বাকিবুরের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ। বর্তমানে তিনি জেলবন্দি। রেশন দুর্নীতিতে তার ভূমিকা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে বাকিবুর গ্রেফতার হওয়ার পরেই তার সংস্থা যে বরাত পেত তা বন্ধ করে দেয় রাজ্য সরকার।