Rahul Gandhi meets Wayanad Landslide Victims: ‘এখন রাজনীতি করার সময় নয়,’ কেরলে ভয়াবহ ধস বিপর্যয় দেখলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা

ওয়েনাডে ভয়াবহ বিপর্যয়। ধসে বিধ্বস্ত গোটা এলাকা। সেখানে বিপন্ন মানুষের পাশে ছুটে যান রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাহুল বলেন, রাজনীতির ইস্যু নিয়ে কথা বলার সময় ও জায়গা এটা নয়। এখানকার মানুষ সহায়তা চাইছেন। এখন এখানকার যে মানুষরা সমস্যার মধ্যে রয়েছেন তাঁদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া দরকার। আমি এখন রাজনীতি নিয়ে উৎসাহিত নই। আমি এখানকার মানুষের  সব থেকে ভালো যে সুরক্ষার ব্যবস্থা আছে সেটা দেখা দরকার। বললেন রাহুল। 

এদিকে কেরল বিপর্যয়ের পরে সম্প্রতি কেরল সরকারকে একহাত নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন এনিয়ে দোষারোপের সময় এটা নয়। 

এদিকে কেরলে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ২০০ পার করে গিয়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত কেরলে ১৯৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরে কেরলের সংবাদমাধ্যম ‘মাতৃভূমি’র রিপোর্টে দাবি করা হয়, মৃতের সংখ্যা ২৭৫-এর বেশি। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ। এই আবহে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

তবে এই বিপর্যয়ের মাঝে রাজনীতি চাই না বললেও বাস্তবে কাদা ছোঁড়াছুড়ি, রাজনীতি চলেই আসছে। 

সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রের তরফ থেকে কেরল সরকারকে এই দুর্যোগের আগাম সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল পরপর চারদিন। তারপরেও তারা সতর্ক হয়নি। কেন লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অমিত শাহ। 

তবে এবার রাহুল গান্ধী ওয়েনাডে গিয়ে জানিয়ে দিলেন, এনিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। 

রাহুল এদিন গিয়ে দুর্যোগে বিপন্ন মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। রাহুল বলেন, এটা ভয়াবহ পরিস্থিতি। কেরলের জন্য। গোটা দেশের জন্য। আমরা পরিস্থিতি দেখতে এসেছি। কত মানুষ তাঁদের সব কিছু হারিয়েছেন। এটা যন্ত্রণার। আমরা সহায়তা করার চেষ্টা করছি। আরও অনেক কিছু করতে হবে। আমি চিকিৎসক, নার্স, প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবক সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে ভারতীয় সেনা। কেরলের রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (কেএসডিএমএ) জানিয়েছে, ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ, সিভিল ডিফেন্স, এনডিআরএফ এবং স্থানীয় কুইক রেসপন্স দলের সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছেন। কান্নুরের ডিএসসি সেন্টারের প্রায় ২০০ ভারতীয় সেনা এবং কোঝিকোড় থেকে ১২২ টিএ ব্যাটালিয়নও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এর পাশাপাশি, বিমানবাহিনীর তিনটি হেলিকপ্টার, একটি এমআই-১৭ বিমান উদ্ধার অভিযানে রয়েছে।

সূত্রের খবর, সোমবার গভীর থেকেই ওয়ানাড়ের মেপ্পাদির কাছে একাধিক পাহাড়ি এলাকায় ধস নামে। রাত ১ টা নাগাদ মুন্ডাক্কাই টাউনের কাছে প্রথম ধস নেমেছিল। এর ঘণ্টাতিনেক পরে দ্বিতীয় ধস নামে একটি স্কুলের কাছে। তার জেরে আশপাশের বাড়ি এবং দোকানের মধ্যে জল এবং কাদা ঢুকে যায়। ওই এলাকায় একটি ব্রিজও ভেঙে পড়ে। তার জেরে কমপক্ষে ৪০০টি পরিবার আটকে পড়ে। একাধিক গাড়ি ভেসে যায়।