Extra marital affairs: প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে দিল স্বামী! দম্পতির সুখী জীবন চেয়ে করল প্রার্থনা

বিবাহের পর স্বামী-স্ত্রীর পরকীয়া বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার খবর প্রায়ই শোনা যায়। আর পরকীয়াকে কেন্দ্র করে কখনও মারধর অথবা খুনো খুনির অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। তবে একটি ঘটনায় সকলের নজর কাড়ল স্বামীর ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত। কোনওরকমের হিংসাত্মক পথ বেছে না নিয়ে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া স্ত্রীকে তার প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন স্বামী। শুধু তাই নয়, প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়েও দিলেন তিনি। এমনই ঘটনা ঘটেছে বিহারের লক্ষীসরাই জেলার রামনগর গ্রামে। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রেমিকের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ‘পরকীয়ার সন্দেহে সারা শরীরে পেরেক ফুটিয়ে যুবককে গাছে ঝোলালেন স্ত্রী, শাশুড়ি’

জানা গিয়েছে,বছর বাইশের ওই যুবতীর নাম খুশবু কুমারী।  ২৬ বছর বয়সি রাজেশ কুমারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল ২০২১ সালে। তাদের এক সন্তানও রয়েছে। তবে সেই বিয়েতে মোটেও খুশি ছিলেন না খুশবু। বিয়ের আগে থেকেই তার বাল্যবন্ধু চন্দন কুমারের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জানা যায়, বিয়ে এবং সন্তান হওয়ার পরেও খুশবু ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। তারা একে অপরের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পাশাপাশি মাঝেমধ্যে দেখাও করতেন। তবে বিষয়টি জানাজানি হতে দেরি হয়নি।

সম্প্রতি রাতের বেলায় চন্দন লুকিয়ে রাজেশের বাড়িতে যায়। সেই সময় যুবকের সঙ্গে খুশবুকে ধরে ফেলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় বাড়িতে। পরের দিন রাজেশ চন্দনকে নিয়ে গ্রামে হাজির হন এবং দুজনের সম্মতিতে খুশবুকে চন্দনের হাতে তুলে দেন। শুধু তাই নয়, তাদের বিয়ে দেওয়ারও ব্যবস্থা করেন। 

জানা যায়, স্থানীয় একটি মন্দিরে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমিকের হাত এক করে দেন রাজেশ। এরপর তাদের তাদের বিদায় জানান। রাজেশ বলেন, ‘দুজনেই একে অপরের গভীর প্রেমে ছিলেন এবং প্রায়ই একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেন। তাই, তারা যাতে সুখে থাকে তার জন্য আমি তাদের বিয়ে দিয়েছি। আমি শুধু তাদের এক সঙ্গে থাকতে সাহায্য করেছি। আমি তাদের সুখী দাম্পত্য জীবন কামনা করছি।’ 

এদিকে, প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে হওয়ায় খুশি খুশবু। তিনি তার প্রাক্তন স্বামী রাজেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রেমিকের সঙ্গে দেখার পর রাজেশ আমাদের বিয়েতে রাজি হয়েছিলেন। এখন, আমি আমার নতুন স্বামীর সঙ্গে থাকব।’ যদিও দুবছরের সন্তান আয়ুশকে নিজের কাছেই রেখে দিয়েছেন রাজেশ। তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। ছেলেই আমাদের সুখের একমাত্র উৎস।’