বেলঘরিয়া রেল ব্রিজে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হল, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বড় ত্রুটি

এবার বড়রকমের ত্রুটি ধরা পড়ল বেলঘরিয়া রেল ব্রিজে। আর তাই এখন এখান দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হল। সুতরাং রেল ব্রিজের চাপ এবার এসে পড়বে রাজপথে। ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তখনই একাংশে ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে। এখন যদি এই রেল ব্রিজে ভারী যানবাহন চলাচল করে তাহলে পথ দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে। তাই এই রেল ব্রিজের উপর দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচলের উপর আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই ভারী গাড়ি এখন মূল পথ ধরেই যাতায়াত করবে। ফলে যানজটের আশঙ্কা থাকছে।

মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর থেকেই রাজ্যের সব ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা শুরু হয়। এটা করার জন্য রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়। উত্তর শহরতলির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম এই বেলঘরিয়া ব্রিজ। রেলের পক্ষ থেকে এই ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। সেখানে রেললাইনের উপরের অংশে কিছু ত্রুটি মিলেছে। তখনই বেলঘরিয়া ব্রিজে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এই ব্রিজ বন্ধের কথা ব্যানার লাগিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ, রবিবার থেকে ওই ব্রিজের উপর দিয়ে আর লরি–ট্রাক চলাচল করতে পারবে হবে না। ব্যারাকপুর পুলিশ এখন যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে।

আরও পড়ুন:‌ আবার হিংসার বাতাবরণ বাংলাদেশে, বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা, সংঘর্ষে মৃত ২, আহত শতাধিক

ব্রিজটি রেলের অধীনে হলেও এখান দিয়ে বাংলার মানুষজন যাতায়াত করেন। আবার ভারী যান চলাচলও করে। ব্রিজে ত্রুটি থাকায় সেটা চললে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এমনকী বহু মানুষের মৃত্যু হবে যদি এই ব্রিজ ভেঙে পড়ে। এই ব্রিজ ৪০০ মিটার লম্বা। এই ব্রিজে রেলের অংশে ১৪ এবং ২৮ মিটারের দুটি স্প্যান আছে। সেটা মেরামত করতে হবে। যা করবে রেল। কিন্তু এই ব্রিজের সংলগ্ন বাকি অ্যাপ্রোচ রোডের দায়িত্ব রাজ্যের পূর্ত দফতরের। সেখানেও মেরামতি করা হবে। এই রেল ব্রিজের পুরোপুরি মেরামতির কাজ হবে দুর্গাপুজোর পরে। সেক্ষেত্রে এত আগে থেকে কেন ভারী যান চলাচল বন্ধ করা হল?‌ উঠছে প্রশ্ন।

পুলিশ সূত্রে খবর, এখন থেকে রেল ব্রিজে ভারী যান চলাচল বন্ধ না করলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। তাই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই রেল ব্রিজ দিয়ে মুড়াগাছা মোড়, বিরাটি, বিটি রোডের মুখে যশোর রোড, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। এই ব্রিজ সম্পূর্ণ মেরামত করা হলে তবেই ভারী যানবাহন আবার চলাচল করতে পারবে। এই কাজ করতে সময় লাগবে। এই ব্রিজের উপর দিয়ে যখন ভারী যানবাহন চলাচল করে তখন ব্রিজটি কাঁপতে থাকে। এই ব্রিজের নীচে বেশকিছু দোকানপাট আছে।তাই ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন। না হলে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।