Ayodhya gang rape: অযোধ্যায় গণধর্ষণে জারি রাজনৈতিক চাপানউতোর, DNA টেস্টের দাবি অখিলেশের

অযোধ্যায় নাবালিকাকে গণ ধর্ষণের ঘটনায় ক্রমেই চড়ছে রাজনীতির পারদ। এই ঘটনায় অভিযোগ ওঠার পরেই বুলডোজার পদক্ষেপ নেয় যোগী আদিত্যনাথের সরকার। গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত তথা সমাজবাদী পার্টির কর্মী মইন খানকে। তারপরেই উত্তরপ্রদেশে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছড়ি। বিজেপি এবং সমাজবাদী পার্টি একে অপরকে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করতে শুরু করেছে। এবার নাবালিকার গর্ভস্থ সন্তানের ডিএনএ টেস্টের দাবি জানালেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। একই সঙ্গে উত্তর প্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যের নারকো টেস্টের দাবি জানলেন অখিলেশের কাকা শিবপাল সিং। তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে গণধর্ষিত হয়েছেন, দাবি মডেলের, ২ মাস পর অভিযোগ দায়ের

নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় সমাজবাদী পার্টির কর্মী গ্রেফতার হওয়ার পরেই দলকে নিশানা করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। তিনি সমাজবাদী পার্টিকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, দলটি ধর্ষকদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে। এটাই সমাজবাদী পার্টির সহজাত প্রবৃত্তি। যদি ধর্ষক মুসলিম হয় তাহলে তাকে বাঁচানোর জন্য পুরোপুরি দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় সমাজবাদী পার্টি। এবার সমাজবাদী পার্টিকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করা হবে। কেশবের এক্স পোস্টের পরেই অখিলেশের কাকা তথা প্রবীণ এসপি নেতা শিবপাল যাদব পাল্টা এক্সে লেখেন, ‘আমি অযোধ্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদের নারকো টেস্ট করা উচিত, যাতে বোঝা যায় তিনি একটি স্পর্শকাতর ইস্যুতে কতটা সস্তার রাজনীতি করছেন।’ তিনি আরও লেখেন, যে সমস্ত বিজেপি নেতারা এই ইস্যুটিকে রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা করছেন তাদের সকলের নারকো টেস্ট করা উচিত। শিবপাল দাবি করেছেন, লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ধরাশায়ী হয়েছে বলেই এরকম দাবি করছে। অন্যদিকে, এসপি প্রধান অখিলেশ বলেছেন, এই ঘটনায় ডিএনএ পরীক্ষা না হলে বিজেপির অভিযোগ পক্ষপাতদুষ্ট বলে বিবেচিত হবে।

প্রসঙ্গত, অযোধ্যার পুরকালান্দর থানা এলাকার একটি বেকারি কারখানার মালিক মইন খান এবং তার কর্মচারীরা মিলে ১২ বছরের নাবালিকাকে দুমাস ধরে আটকে রেখে গণ ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।  এই ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে রাখে অভিযুক্তরা যাতে নাবালিকা কাউকে বলতে না পারে। এরপর ডাক্তারি পরীক্ষায় জানা যায় নির্যাতিতা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। পরে নাবালিকার মা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতে অবশেষে ৩০ জুলাই মইন খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।