সেনাবাহিনী এবং পুলিশে ব্যাপক রদবদল করল বাংলাদেশ, তপ্ত বাতাবরণে জারি বিবৃতি

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে বড় রদবদল ঘটল। যদিও পদ্মাপারের দেশটির দায়িত্বে সেনাবাহিনী থাকলেও অশান্তির আগুন জ্বলছে। এই আবহে বিবৃতি দিয়ে এই রদবদলের কথা জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর জনসংযোগ দফতর (‌আইএসপিআর)‌। ইতিমধ্যেই র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক একে এম শহিদুর রহমানকে। আর ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মহম্মদ মাইনুল হাসানকে। আসলে পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ কাউকে রাখা হয়নি।

এদিকে বিবৃতি অনুযায়ী, সেনার মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একাধিক শীর্ষ অফিসারকে সরানো হয়েছে সেনার দায়িত্ব থেকে। লেফটন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ সইফুল আলমকে বিদেশ দফতরে পাঠানো হয়েছে। লেফটন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ মুজিবর রহমান গিয়েছেন জিওসি আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের দায়িত্বে। লেফটন্যান্ট জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী এখন হয়েছেন সেনার কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল। আর সেনাবাহিনীর চিফ অফ জেনারেল স্টাফের দায়িত্বে এসেছেন লেফটন্যান্ট জেনারেল মিজানুর শামিমের কাছে।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌প্রয়োজনে ৪ শিফটে কাজ করানো হোক’‌, রাস্তায় বাস কমে যাওয়ায় প্রস্তাব দিলেন মমতা

অন্যদিকে আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে হয়েছে। আর সেখানে জননিরাপত্তা বিভাগের নিয়োগ নিয়ে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। সেখান থেকেই জানা যাচ্ছে, শহিদুর রহমান পুলিশ অধিদফতরের দায়িত্ব থেকে সরে এখন র‍্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে মহম্মদ হারুন অর রশিদের জায়গায় এলেন। পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হারুন অর রশিদকে পুলিশ অধিদফতরে বদলি করা হয়েছে। মাইনুল হাসান অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দায়িত্বে ছিলেন। তিনি এখন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হিসেবে হাবিবুর রহমানের জায়গায় এলেন। পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হাবিবুর রহমানকে পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে বলেও খবর।

এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারি করা এই নির্দেশ দ্রুত কার্যকর হবে। মঙ্গলবার রাতেই মহম্মদ মায়নুল ইসলামকে পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি পুলিশের ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের কমান্ড্যান্টের (অতিরিক্ত আইজিপি) দায়িত্বে ছিলেন। তবে তার আগে আইজিপি পদে চৌধুরী আবদুল্লা আল মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জুলাই মাসেই চৌধুরী আবদুল্লা আল মামুনের চুক্তির মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় একবছর বাড়ানো হয়েছিল। তিনি আগে দেড় বছর চুক্তিতে আইজিপি পদে ছিলেন।