Lung cancer: শুধু ধূমপানের কারণে নয়, এই সমস্ত কারণেও হতে পারে ফুসফুসের ক্যানসার

ক্যানসার, এটি এমন মারণ রোগ, যা আপনাকে শেষ করে দিতে পারে ধীরে ধীরে। তবে এই ক্যানসারের অনেক প্রকারভেদ রয়েছে, যার মধ্যে সবথেকে সাধারণত ক্যানসার হল ফুসফুসের ক্যানসার। এই ফুসফুসের ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে সকলে ধূমপানকেই দায়ী করে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, ধূমপান ছাড়াও ফুসফুসের ক্যানসারের আরও অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে।

বায়ু দূষণ: ফুসফুসের ক্যানসারের একটি অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে বায়ু দূষণ। কলকাতা, মুম্বাইতে বটেই, দিল্লির মতো বড় শহরে এখন বায়ু দূষণের মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। প্রতিনিয়ত ধুলোবালি, ধোঁয়ার সংস্পর্শে থাকলে ফুসফুসের ক্যানসার হওয়া ভীষণ স্বাভাবিক।

(আরও পড়ুন: ২৫ মিনিট বন্ধ ছিল হৃদপিণ্ড, তারপরেও বেঁচে গেলেন মার্কিনি ছাত্র! হতবাক চিকিৎসক)

তামাক সেবন: শুধুমাত্র সিগারেট খেলেই না, তামাকজাত যে কোনও পণ্য ফুসফুসের ক্যানসারের কারণ হতে পারে। বর্তমানে ই-সিগারেটকেও ফুসফুসের ক্যানসারের কারণ হিসেবে ধরা হয়। ই সিগারেটগুলিতে থাকা ক্ষতিকারক রাসায়নিক এবং কার্সিনোজেন ফুসফুসের টিসুর ক্ষতি করে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

সিক বিল্ডিং সিনড্রোম: সিক বিল্ডিং সিনড্রোম ওরফে SBS ফুসফুসের ক্যানসারের অন্যতম কারণ। এই ঘটনাটি তখন ঘটে যখন একই বিল্ডিং-এর বাসিন্দারা বিল্ডিংয়ে থাকাকালীন তীব্র স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হন। বায়ু চলাচলে সমস্যা, কার্পেটিং এবং বিশেষ কিছু আসবাবপত্র থেকে তৈরি হওয়া ধুলো এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি হয় ফুসফুসের ক্যানসার।

(আরও পড়ুন: স্বচ্ছ কাঁচের মতো চোখে নীল বাদামি রং! ভাইরাল বান্দিপুরের বাঘের ছবি)

রেডন এক্সপোজার: রেড অন একটি বর্ণহীন এবং গন্ধহীন গ্যাস, যেটি ফুসফুসের ক্যানসারের দ্বিতীয় প্রধান কারণ। এটি প্রাকৃতিকভাবে মাটি এবং শিলা থেকে নির্গত হয় এবং জনপদে প্রবেশ করে। যে সমস্ত জায়গায় সঠিকভাবে বায়ু চলাচল করতে পারে না, সেখানে এই দীর্ঘমেয়াদী রেডন এক্সপোজার ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

অ্যাসবেস্টস এক্সপোজার: অ্যাসবেস্টস ব্যবহার করা হয় শিল্প এবং নির্মাণ ক্ষেত্রে। এটি শ্বাসনালির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এবং ফুসফুসের ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। যদিও এটি ক্যানসারের বিরল রূপ, তবুও যথাযথ সচেতনতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জেনেটিক কারণ: বংশে কোনও মানুষের পূর্বে ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা থাকলে আশঙ্কা অনেকাংশে বেড়ে যায়। এই রোগ আটকানোর জন্য তাই পারিবারিক চিকিৎসা ইতিহাস সম্পর্কে সচেতনতা থাকা ভীষণ প্রয়োজন।