মাঝে একদিন অনুপস্থিত থাকতে পারলেই দুরন্ত সফর, দিঘা–মন্দারমণিতে নামবে পর্যটকদের ঢল

রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ছুটি। আর শুক্রবার একদিন যদি অফিস না যাওয়া যায় তাহলেই চারদিনের লম্বা উইকএন্ড। কারণ শনিবার ও রবিবার আবার দু’দিন ছুটি। মাঝের এই শুক্রবার একটু ম্যানেজ করতে হবে। এটা আগেই ধরে ফেলেছে রেল। তাই পর্যটকদের জন্য দক্ষিণ–পূর্ব রেল স্বাধীনতা দিবসে দিঘার উদ্দেশে বিশেষ ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করেছে। সুতরাং চারদিন সৈকতনগরীতে পর্যটকদের ব্যাপক ভিড় হবে ধরে নেওয়া হচ্ছে। এবার এই লম্বা উইকএন্ডে ব্যাপক ভিড় হবে ধরে নিয়েই হোটেল ব্যবসায়ীরা উদ্যোগী হয়েছেন।

রেল দফতর সূত্রে খবর, ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসে সকাল ৮টার সময় শালিমার থেকে দিঘার উদ্দেশে যাত্রা করবে বিশেষ ট্রেন। দিঘায় তা পৌঁছবে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে। আর এখন যাঁরা দিঘায় আছে তাঁরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় দিঘা ছেড়ে শালিমারে ফিরবে বিকেল ৪টে ৫ মিনিটে। এই উইকএন্ড ট্যুর উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে দিঘার সমুদ্রসৈকত থেকে রাস্তাঘাট। এখন দিঘার অন্যতম আকর্ষণ মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প জগন্নাথধাম। যার কাজ চলছে। সেটাও এই লম্বা ছুটিতে দেখে নিতে পারবেন। কদিন পরই এই মন্দিরের উদ্বোধন হবে।

আরও পড়ুন:‌ অযোধ্যার রামমন্দির থেকে চুরি গেল আলো, ভক্তিপথে নামল আঁধার, এফআইআর দায়ের

এখন বর্ষাকাল চলছে বলে পরিবেশ অনেক সুন্দর হয়েছে। এখানে এখন দেদার ইলিশ মাছ বিকোচ্ছে। হোটেল–রেস্তোরাঁয় গেলে পাতে মিলবে ইলিশের নানা পদ। চারদিনের এই ছুটিতে এখন পর্যটকরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন সমুদ্রসৈকতে। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি দিঘায় যাওয়ার সব প্রস্তুতি করে ফেলেছে। দিঘার মেরিন ড্রাইভ বেড়ানোর জন্য এখন আদর্শ স্থান। আরও তিনটি সেতুর মাধ্য‌মে দিঘার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে শঙ্করপুর, তাজপুর এবং মন্দারমণি। ইলশেগুড়ি বৃষ্টি গায়ে মেখে মেরিন ড্রাইভ ধরে লং ড্রাইভে যাওয়ার মজাই আলাদা। সমুদ্রের নৈসর্গিক দৃশ্য দেখে আনন্দ নিতে পারবেন পর্যটকরা।

এই উইকএন্ড ট্যুর নিয়ে দিঘা–শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‌প্রচুর বুকিং হয়েছে। টানা ছুটি থাকায় ১৫ তারিখ থেকে ভিড় বাড়বে। তবে সমুদ্রস্নানে নেমে বেশ কয়েকজন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এটা বন্ধ করতে পুলিসি নজরদারি বাড়াতে হবে।’‌ দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা কাঁথির মহকুমাশাসক সৌভিক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‌পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রশাসন তৎপর। পর্যটকদের প্রশাসনের নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে।’‌ ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) আবু নুর হোসেনের কথায়, ‘‌অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে প্রস্তুত পুলিশ–প্রশাসন।’‌