RG Kar Doctor Murder: একাধিক জন জড়িত আরজি করে ‘ডাক্তার দিদি’ খুনে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখেছেন চিকিৎসক

আরজি করের মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। এতদিন কলকাতা পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছিল। তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই তদন্ত গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। তবে কলকাতা পুলিশের তরফে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল যে এই ঘটনায় একজনই মাত্র যুক্ত ছিল। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখতে পেয়েছেন এমন চিকিৎসকদের একাংশ কলকাতা পুলিশের সেই প্রাথমিক দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন।  

তবে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীও একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। 

এদিকে টিভি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে,ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী যিনি এই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখেছিলেন তিনি সেই রাতের ঘটনা ঠিক কী হতে পারে সেটা সম্পর্কে আভাস দিয়েছেন। সেই সঙ্গেই কলকাতা পুলিশের দাবিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন। 

ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন,  ওই মহিলা চিকিৎসকের শরীরে যে আঘাত ছিল, তার যে গভীরতা ছিল তাতে মোটামুটি এটা বোঝা যাচ্ছে যে একাধিক ব্যক্তি এর পেছনে থাকতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, যৌনাঙ্গে অতিরিক্ত পরিমাণ বীর্য মিলেছে সেটা একজনের হতে পারে না, একটা জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে যে একাধিক ব্যক্তি এই যৌন হেনস্থার পেছনে থাকতে পারে। 

পুলিশ ইতিমধ্য়েই সঞ্জয় রায় নামে ৩৫ বছর বয়সি এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে সেই সময় বলা হয়েছিল একজন মাত্র জড়িত থাকতে পারে। 

সেদিন সারাদিন কোথায় ছিলেন ওই মহিলা চিকিৎসক? 

৩১ বছর বয়সি ওই চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ তিনি রেসপিরেটরি মেডিসিনের ওপিডি সামলেছিলেন। এরপর তিনি ইউনিট ১১-এ-তে ৬জন রোগীকে ভর্তি করান। প্রায় ৩টে নাগাদ তিনি ইনডোর ওয়ার্ডে যান। রাত পর্যন্ত তিনি সেই ইনডোর ওয়ার্ডে রাউন্ড দেন। রোগীরা কে কোথায় কেমন রয়েছেন সেব্যাপারে খোঁজ নেন। এরপর তিনি রাতে কিছুক্ষণের জন্য় খেত এসেছিলেন। দুজন প্রথম বর্ষের পিজিটি, ইন্টার্ন, হাউস স্টাফ তাঁর সহযোগিতার জন্য ছিলেন। সিনিয়র চিকিৎসকরা ছিলেন অন কলে। ইউনিটের চার্জে থাকার জন্য় তিনি রাত ২টো পর্যন্ত তাঁর ডিউটি করেন। শুক্রবার ৪টে নাগাদ তাঁর ডিউটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। 

সেমিনার হলে যাওয়ার আগে তিনি জুনিয়রদের জানিয়েছিলেন, আমি একটু বিশ্রাম নিতে যাচ্ছি। এমার্জেন্সি কিছু থাকলে আমাকে ডাকবে। অনেক সময় ডিপার্টমেন্টের স্লিপ ল্যাবেও শুয়ে পড়েন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেই রাতে সেখানে একজন রোগী ছিলেন বলে ওই মহিলা চিকিৎসক চলে যান সেমিনার হলে।