নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে সিবিআই, আরজি কর হাসপাতালের তিন ডাক্তারকে তলব

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। আর তারই প্রতিবাদে আন্দোলন চলছে রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে। সেই আন্দোলনের মাঝেই মাঝরাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলা হয়ে গেল। আর এই ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে উঠে পড়ে লেগেছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই ৯ জনের ছবি প্রকাশ করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে আজ, বৃহস্পতিবার সোদপুরে নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বললেন সিবিআইয়ের অফিসাররা।

আজ, বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে চারিদিকে নানা অনুষ্ঠান চলছে। এই আবহে সিবিআই হাজির হলেন সোদপুরে। একইসঙ্গে তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নেমে সিবিআই তিনজন চিকিৎসককে তলব করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। পদত্যাগী এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠকেও তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ওই রাতে নির্যাতিতার সঙ্গে যে পড়ুয়া–চিকিৎসকরা হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলেন তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় মঙ্গলবার সিবিআইকে তদন্তভার দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ওই রাতেই মামলার নথিপত্র হস্তান্তরিত হয়। বুধবার সকালে ধৃত অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌বর্বরোচিত কাজ করেছে সিপিএম–বিজেপি’‌, আরজি কর হাসপাতালের তাণ্ডবে সরব সাংসদ পার্থ

সিবিআই সূত্রে খবর, সঞ্জয় বশিষ্ঠ ছাড়া তলবের তালিকায় রয়েছেন দু’‌জন চিকিৎসক। তার মধ্যে একজন চেস্ট বিভাগের প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী এবং ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক যিনি ময়নাতদন্তের সঙ্গে যুক্ত মলি বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দু’‌জনকেও তলব করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন ইতিমধ্যেই সিবিআই দফতরে এসেছেন। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে। আজ, বৃহস্পতিবার আবার নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছেছেন সিবিআই কর্তারা। এই ঘটনায় দোষীকে খুঁজে বের করে চরম শাস্তি দেওয়ার আওয়াজ উঠেছে। রবিবারের মধ্যে তদন্ত শেষ করে ফাঁসির প্রস্তুতির ডেডলাইন দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই চাপে আছেন সিবিআই কর্তারা বলে মনে করা হচ্ছে।

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক নাইট ডিউটি করছিলেন। তারপর ঘুমিয়ে পড়েন সেমিনার হলে। যেখানে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছে গোটা বাংলা। নির্যাতিতাকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে ১২ জনের একটি দল গঠন করেছে সিবিআই। সেখানে আছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ,চিকিৎসক ও তদন্তকারী অফিসাররা। তদন্তের মূল দায়িত্বে আছেন নয়াদিল্লির অফিসাররা। এই ঘটনায় সাহায্য করবে কলকাতার স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চকে। ন্যায়বিচার দিতে এবার মহিলা অফিসারকে তদন্তকারী অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছে সিবিআই। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।