Hilsa: পুজোর আগেও কী আসবে না পদ্মার ইলিশ? কী বলছেন মৎস্যজীবীরা

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী রাজনৈতিক সমস্যার জের এসে পড়েছে এপার বাংলা অর্থাৎ ভারতের মৎস্য বাজারে। শেখ হাসিনা থাকাকালীন বাংলাদেশ ভারতকে যে ইলিশ মাছ রপ্তানির যে উপহার দিয়েছিল, তা আপাতত বন্ধ। ভারতের মৎস্য বাজারে ইলিশের দাম রীতিমতো হুহু করে বাড়ছে, তারপরেও আকাল দেখা গেছে পদ্মার ইলিশের।

বাংলাদেশের অন্তবর্তী কালীন সরকারের মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ‘আগে বাংলাদেশের মানুষ ইলিশ পাবে। তারপর দেশের বাইরে রপ্তানি করা হবে। এদিকে বিশ্বের ৭৫ ভাগ ইলিশ বাংলাদেশ থেকে সরবরাহ হয়।’ প্রতি বছর ৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি ইলিশ বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়ে থাকে যার মধ্যে বেশিরভাগ বাইরের দেশে রপ্তানি হয়।

(আরও পড়ুন: আপনি কি বারবার খাবার গরম করে খান? তাহলে জেনে নিন কোন কোন খাবারে সেটি করবেন না)

আষাঢ় শ্রাবণ মাস শুরু হতে না হতেই পদ্মার ইলিশের জন্য এপার বাংলার মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন প্রতিবছর। গতবছর পূজোর আগে প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ থেকে এসেছিল ভারতবর্ষে। কিন্তু এ বছর হয়তো পদ্মার ইলিশের স্বাদ আর পাওয়া হবে না ভারতের মানুষের। আপাতত শেখ হাসিনার পদচ্যুত হওয়ার পর বাংলাদেশের শাসনভার সামলাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকার।

আপাতত শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ভারতবর্ষে তাই ভারত বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগামী দিনে কোন জায়গায় পৌঁছায় তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং বাণিজ্যিক নীতি যতদিন না স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন পদ্মার ইলিশ এপার বাংলায় আসবে বলে মনে হয় না।

এই প্রসঙ্গে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং ও ফরওয়ার্ডিং – এর সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘ইলিশ নিয়ে কোনও খবর এখন নেই। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আগে স্বাভাবিক হোক। তারপর বোঝা যাবে ইলিশ নিয়ে ঠিক কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, ‘২০১২ সালে বাংলাদেশ ইলিশ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তারপর আমরা অনেক জায়গায় আবেদন করি কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। গতবছর আবার বাংলাদেশ থেকে ইলিশ উপহার পায় ভারত।’

(আরও পড়ুন: আগের দিনের ভাত/ রুটি বেঁচে গিয়েছে? সেগুলি দিয়ে বানিয়ে নিন অফিস বা স্কুলের এই টিফিন)

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর পুজোর জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ইলিশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু এবার চিঠি পাঠানোর আগেই বাংলাদেশ সরকারের বদল চলে এসেছে। বাংলাদেশে যে সরকার গঠন হবে, তাদের চিঠি লিখে ইলিশ দেবার জন্য আবেদন জানানো হবে সংগঠনের পক্ষ থেকে। বিষয়টি ভারত সরকারকেও জানানো হবে। কিন্তু দুর্গাপূজার আগে সবকিছু ঠিক হবে কিনা তা এখন কিছুই বলা যাচ্ছে না।’