IT কোম্পানির CEO-রা ফ্রেশারদের থেকে কত গুণ বেশি মাইনে পান, জানলে ভিরমি খাবেন!

ভারতে, আইটি সেক্টরে কর্মরত সাধারণ কর্মচারী এবং সেই কোম্পানির সিইও-এর বেতনের ব্যবধান এতটাই বেশি হতে পারে, তা কল্পনারই বাইরে। গত ৫ বছরে সেই ব্যবধান ক্রমাগত বাড়তে বাড়তে এখন পৌঁছে গিয়েছে ১৭০০ গুণ পর্যন্ত। এই পার্থক্যটি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে দেখা গিয়েছে ইনফোসিস, উইপ্রো এবং এইচসিএল-এর মতো আইটি কোম্পানিগুলোতে। তবে আইবিএম-এ সিইও এবং কর্মচারীদের বেতনের মধ্যে এই পার্থক্য অনেকটাই কমে গিয়েছে

আরও পড়ুন: (Sundar Pichai: ইন্টারভিউের মধ্যে আইসক্রিম….প্রয়াত ইউটিউবের প্রাক্তন CEO-র স্মৃতিচারণা সুন্দরের)

পার্থক্য সবচেয়ে বেশি উইপ্রোতে

২০২৩ সালে সিইও-এর মোট প্যাকেজ প্রায় ৭০ শতাংশই এসেছিল স্টক গ্র্যান্ট থেকে। ২০২৩ সালে স্টক অনুদানের গড় মূল্য ১০.৭ শতাংশ বেড়ে ৯.৪ মিলিয়ন ডলার হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে প্যাকেজ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

আর ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণ মূর্তি বলেছিলেন যে সিইওর প্যাকেজ (বেতন + স্টক গ্র্যান্ট), সর্বনিম্ন স্তরের কর্মচারীর প্রায় ২৫ থেকে ৪০ গুণ হওয়া উচিত। কিন্তু এখন এই কোম্পানির সিইও সলিল পারেখের ক্ষতিপূরণ গড় পারিশ্রমিকের প্রায় ৭০০ গুণ।

আবার এই পার্থক্য উইপ্রোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। প্রাক্তন সিইও থিয়েরি ডেলাপোর্টকে ২০২৩-২৪ সালে ২০ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ১৬৮ কোটি টাকা) প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল। যেখানে কোম্পানিতে কর্মরত কর্মীদের গড়ে ৯.৮ লক্ষ টাকার প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল। হিসাব করলে দেখা যায় এই পার্থক্য ১৭০২ গুণ বেশি।

এক বছরের মধ্যে, এইচসিএল সিইও সি বিজয়কুমারের প্যাকেজ এবং গড় কর্মচারীর বেতনের মধ্যে অনুপাত ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ২৫৩:১ থেকে ৭০৭:১ পর্যন্ত বেড়েছে। অর্থাৎ এক বছরে সিইওকে কর্মচারীর চেয়ে ৭০৭ গুণ বেশি বেতন দেওয়া হয়েছে।

অ্যাকসেঞ্চারে কর্মরত একজন কর্মচারীর গড় বেতনের থেকে ৬৩৩ গুণ বেশি সিইও-র বেতন। ২০২৩ অর্থবছরে অ্যাকসেঞ্চার-এর সিইও-এর প্যাকেজ ছিল ২৬৪ কোটি টাকা

আরও পড়ুন: (Mark Zuckerberg: কীভাবে একা হাতে সার্চ ইঞ্জিন বানাতে আদিত্যকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন জুকারবার্গ)

প্রসঙ্গত, এক্সিকিউটিভ ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম ইকুইলারের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তালিকাভুক্ত বৃহত্তম সংস্থাগুলির কর্মচারীরা ২০২৩ সালে ৮১,৪৬৭ ডলার বেতন পেয়েছিলেন। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে প্রাপ্ত গড় বেতনের তুলনায় এটি ছিল ৫.২ শতাংশ বেশি। গড় কর্মচারীর তুলনায় সিইও বেতনের এই অনুপাত ২০২২ সালে ১৮৫ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ১৯৬ হয়েছে।

আরও পড়ুন: (Colin Huang Net Worth: চিনের সবচেয়ে ধনী এই ব্যক্তি, ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেললেন আম্বানির! কত টাকা রয়েছে তাঁর কাছে)

ভারতে, ২০১৪ সালে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক দ্বারা বেতন অনুপাতের প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। প্রক্সি উপদেষ্টা সংস্থা ইনগভর্ন রিসার্চ সার্ভিসেস-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং এমডি শ্রীরাম সুব্রামানিয়ান বলেছেন যে বিগত ১০-১৫ বছরে, এই আইটি পরিষেবা সংস্থাগুলি বড় বৈশ্বিক সংস্থায় পরিণত হয়েছে। যেহেতু এন্ট্রি লেভেলের কর্মচারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই এন্ট্রি লেভেলে প্যাকেজ বাড়েনি। বেতনের অনুপাত বাড়তে থাকার এটাই প্রধান কারণ।