Kolkata Anandapur Woman Murder: ফের রক্তে ভিজল তিলোত্তমার মাটি, সাতসকালে আনন্দপুরে উদ্ধার মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ

বিগত প্রায় ১০ দিন ধরে শহর জুড়ে নারী সুরক্ষার দাবিতে জনসাধারণের মিছিল জারি আছে। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার নিন্দায় সরব সমজে সর্ব স্তরের মানুষ। তবে এই আন্দোলন, প্রতিবাদের মাঝে ফের কলকাকায় এক নারীর উপরে ঘটে গেল পাশবিক অত্যাচার। রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ সাতসকালে আনন্দপুরে অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্বভাবতই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে দক্ষিণ কলকাতার এই এলাকায়। জানা গিয়েছে, ঝোপের ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে সেই মহিলার দেহ। মৃতদেহটি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল। শরীরে বহু আঘাতের চিহ্ন। প্রাথমিক অনুমান, মহিলাকে খুন করে সেখানে ফেলে দিয়ে গিয়েছে কেউ বা কারা। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। (আরও পড়ুন: বাজারে আলুর জোগান ঘিরে আশঙ্কা, আচমকাই বড় সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতার)

আরও পড়ুন: কবে জুড়বে এসপ্ল্যানেড ও শিয়ালদা মেট্রো? বড় আপডেট দিলেন KMRCL-এর নয়া এমডি

উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে এক চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। যা ঘিড়ে তোলপাড় গোটা শহর, রাজ্য এবং দেশ। এমনকী আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। এদিকে সেই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নে মুখে ছিল। আর এর জেরে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ নিজেরাই রাস্তায় নেমে প্রবল প্রতিবাদ দেখিয়ে চলেছেন। সুপ্রিম কোর্টেও এই মামলা গড়িয়েছে। সেখানেও রাজ্য সরকার, পুলিশ প্রশাসন প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শহরে এমন একটি ঘটনা ঘটল।

শনিবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মরত নারীদের সুরক্ষায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা প্রকাশ করেন। তাতে মহিলাদের যথাসম্ভব কম নাইট ডিউটি দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, রাতে মহিলাদের কাজের সূচি এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে, যাতে একটা টিম হিসেবে তাঁরা থাকেন। একা কোনও মহিলাকে নাইট ডিউটিতে দেওয়া যাবে না। আর একে অপর কোথায় যাচ্ছেন, সেটাও জানতে হবে। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশ রাতে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে সরকারের ব্যর্থতা স্বীকার করে নেওয়ার সামিল বলে তোপ দেগেছেন সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধীরা। অবশ্য, সরকার এও জানিয়েছে, একটি বিশেষ মোবাইল ফোন অ্যাপ তৈরি করা হবে। যাতে অ্যালার্ম ডিভাইস থাকবে। প্রত্যেক কর্মরত মহিলাকে সেটা ডাউনলোড করতে হবে। যা স্থানীয় থানা বা পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। তবে এই সব প্রস্তানার মাঝেই ফের শহরে প্রশ্ন উঠল নারী নিরাপত্তা নিয়ে।