Supreme Court on RG Kar Victim: আরজি কর কাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে ঝড়, এরই মাঝে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় কলকাতা সহ গোটা রাজ্য। এই আবহে মানুষ প্রতিবাদ করছেন রাস্তায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। এহেন পরিস্থিতিতে অনেকেই নির্যাতিতার ছবি পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর নামও প্রকাশ করছেন। এমনকী তাঁর মৃতদেহের ছবি পর্যন্ত অসংবেদনশীল ভাবে শেয়ার করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নির্যাতিতার ছবি ও নাম সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল আরজি করের ঘটনা নিয়ে শুনানি হয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতে। সেখানেই শীর্ষ আদালত এই নির্দেশ দেন। এমনিতেই ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট এক নির্দেশে জানিয়েছিল যে ধর্ষিতার নাম, ছবি প্রকাশ করা যাবে না। সদ্য কার্যকর হওয়া ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭২ নং ধারাতেও তা বলা হয়েছে। (আরও পড়ুন: ফের রক্তে ভিজল তিলোত্তমার মাটি, সাতসকালে আনন্দপুরে উদ্ধার মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ)

আরও পড়ুন: ‘নজর ঘোরানোর চেষ্টা…’, আরজি কর নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন রাহুল, তোপ BJP-র

গতকাল শুনানি চলাকালীন এই নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘মৃত চিকিৎসকের নাম এবং ছবি যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে মিডিয়ায়, তাতে আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তাঁর মৃতদেহের ময়নাতদন্তের আগের বা পরের ছবি এবং ভিডিয়োও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট সবসময়ই বাকস্বাধীনতার পক্ষে। তবে একটা সীমা তো নির্ধারণ করা হবে। নয়া ন্যায় সংহিতাতেও এই নিয়ে ধারা উল্লেখ করা আছে। সুপ্রিম কোর্টও এর আগে এই নিয়ে রায় দিয়েছে।’ শীর্ষ আদালত এই নিয়ে বলার পর রাজ্যের তরফের আইনজীবী কবিল সিব্বল সহমত পোষণ করে বলেন, ‘আমরা এই ধরনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫০টি এফআইআর দায়ের করেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর আগে এই ছবিগুলি তোলা হয়েছিল। আমরা আর এরকম হতে দেব না।’ এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এভাবে নির্যাতিতার ছবি প্রকাশ করে সম্মান প্রদর্শন করা যায়?’ (আরও পড়ুন: কবে জুড়বে এসপ্ল্যানেড ও শিয়ালদা মেট্রো? বড় আপডেট দিলেন KMRCL-এর নয়া এমডি)

আরও পড়ুন: বাজারে আলুর জোগান ঘিরে আশঙ্কা, আচমকাই বড় সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতার

এদিকে আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নির্যাতিতার নাম মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও এফআইআর হয়েছে। আজ এই মামলায় লালবাজারে তলব করা হয়েছে সন্দীপকে। এর আগে গত পরশু সন্দীপের বিরুদ্ধে অবশেষে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এর আগে নির্যাতিতার ছবি ও নাম প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে বহু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারীকে নোটিশ পাঠিয়েছিল লালবাজার। আর এবার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সমাজমাধ্যমে যে বা যাঁরা আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন বা নির্যাতিতার নাম বা ছবি প্রকাশ করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে পুলিশ। এই আবহে সন্দীপের বিরুদ্ধেও এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

উল্লেখ্য, পুলিশ দাবি করেছে, ৯ অগস্ট সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ হাসপাতালেরই এক চিকিৎসকের কাছ থেকে ঘটনার সম্পর্কে জানতে পারেন সন্দীপ। পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় পর বেলা ৩টে নাগাদ পুলিশের কাছে কয়েকটি লাইনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ, এর পরেই প্রকাশ্যে নির্যাতিতার নাম নেন সন্দীপ। পরে আবার পদত্যাগের দিনও বারবার নির্যাতিতার নাম নিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ।