উইকেন্ডে ছুটির প্রলোভনে নয়, ঠিক এই কারণে বারবার সিক লিভ নেন কর্মচারীরা

প্রত্যেক কর্ম ক্ষেত্রেই অসুস্থতার জন্য একটি ছুটি ধরাবাঁধা থাকে। এই ছুটিগুলি তখনই নেওয়া যায় যখন কর্মচারীরা ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা অসুস্থতার ছুটি নিয়ে ঘুরতে চলে যান অথবা বাড়িতে সময় কাটান। কিন্তু সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় উঠে এলো এমন একটি ফলাফল, যা শুনে আপনি হয়তো শিউরে উঠবেন।

সম্প্রতি স্ক্যান্ডেনেভিয়ার জার্নাল অফ প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণার ফলাফল থেকে জানা গেছে, অসুস্থকালীন ছুটি নেওয়ার পেছনে কোনওরকম ঘুরতে যাওয়া অথবা ছুটি কাটানোর মানসিকতা কাজ করছে না, বরং এই ছুটি নেওয়ার রয়েছে মানসিক অবসাদ।

(আরও পড়ুন: পুজোর আগেও কী আসবে না পদ্মার ইলিশ? কী বলছেন মৎস্যজীবীরা)

যে সমস্ত কারণে সিক লিভ নিচ্ছেন কর্মচারীরা সেগুলি হল 

 

চাকরির ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব: বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে মহিলারা সহকর্মীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। আবার অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের কাজ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তোলা হয়। এই সমস্ত দ্বন্দ্বের ফলেই কর্মচারীরা অসুস্থ কালীন ছুটি নিতে বাধ্য হন।

সমস্যাজনক কর্মক্ষেত্র: শুধুমাত্র চাকরির ক্ষেত্রে সহকর্মীদের দ্বন্দ্ব নয়, চাকরির ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা এবং অসভনীয় আচরণের ফলেও কর্মচারীরা, বিশেষ করে মহিলা কর্মচারীরা অসুস্থকালীন ছুটি নিতে বাধ্য হন। বেশিরভাগ মহিলা কর্মচারীরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম নিতে বাধ্য হন, যাতে এই সমস্ত সমস্যা এড়িয়ে চলা যায়।

(আরও পড়ুন: হিমালয়ে ১৮,০০০ ফুট উচ্চতা থেকে লাফ দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড ব্রিটিশ ব্যক্তির, স্কিইং করতে গিয়ে ভাইরাল ভিডিয়ো)

প্রসঙ্গত, যে কোনও কর্মক্ষেত্রে বিশেষ করে মহিলাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ না করতে পারায় মহিলারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তাই প্রত্যেক কর্ম ক্ষেত্রে কর্মচারীদের উচিত সহকর্মীদের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার তৈরি করা এবং তা মেনে চলা। একে অপরের সঙ্গে যদি সুষ্ঠু সম্পর্ক থাকে, তাহলে দেখবেন অসুস্থ কালীন ছুটি নেওয়া অনেক বেশি কম হয়ে গেছে কর্মচারীদের মধ্যে।