‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ওপর আস্থা আছে’, মাথায় বন্দুক ধরে নির্যাতিতার বাবাকে বলতে বাধ্য করেছিল TMC নেতা’

আরজি কর মেডিক্যালে নির্যাতিতার পরিবারকে গান পয়েন্টে ‘মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ভরসা আছে’ বলতে বাধ্য করেছিলেন তৃণমূলের নেতারা। এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার কলকাতার শ্যামবাজারে বিজেপির ধরনা মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ঘটনার পর চার দিন ধরে একের পর এক তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করেছে সন্দীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন – ফের রক্তে ভিজল তিলোত্তমার মাটি, সাতসকালে আনন্দপুরে উদ্ধার মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ

পড়তে থাকুন – আরজি করে খুনের পরে সঞ্জয়ের ফোন এক পুলিশকে? বারাকে গিয়ে ঘুম, সিবিআইয়ের নজরে এএসআই, প্রশ্ন শুনেই ছুট!

 

এদিন শুভেন্দুবাবু গত ৯ অগাস্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘পরিবারকে কার্যত বন্দি রাখা হয়েছিল। মিঠু মজুমদার ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গান পয়েন্টে বাবা – মাকে দিয়ে বলিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ওপর আস্থা আছে। অন্য রাজনৈতিক দল ঢুকতে চেয়েছিল। আমরা ঢুকতে দিইনি। পাশে দাঁড়িয়ে মিঠু মজুমদার বলে দিয়েছে আর নির্মল ঘোষ, ওখানকার কানকাটা নাক কাটা লাল চুল কানে দুল তাদেরকে জড়ো করে বাড়িকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।’

এর পরই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, ‘আমি, অর্চনা মজুমদার ও তরুণজ্যোতি তিওয়ারি প্রথম হাইকোর্টে যাই। চার দিন চলে গেছে। ইতিমধ্যে ঘর ভাঙা হয়ে গেছে। বেসিন চেঞ্জ হয়ে গেছে, ভিসেরা চেঞ্জ হয়ে গেছে, ব্লাড স্যাম্পেল চেঞ্জ হয়ে গেছে, সিসিটিভি ফুটেজ মুছে দেওয়া হয়েছে, ওই দিনের নাইট ডিউটির রোস্টার ছিঁড়ে খাতা থেকে খতম করে দেও। চার – পাঁচ দিনে সব করে ফেলেছে মমতা আর তার গুন্ডারা।’

আরও পড়ুন – ‘‌পশ্চিমবঙ্গের সরকার এখন জনগণের বিশ্বাস হারিয়েছে’‌, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল

শুভেন্দুর প্রশ্ন, কী লুকাতে চান মাননীয়? লুকাতে চান আপনি শ্যামাদার অপকীর্তি। শ্যামা দে? ডাক্তার এসপি দাস। বকলমে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তার অনুকম্পা ছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রকে একটা পাতাও নড়ে না। শ্যামাদা মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত বন্ধু। যত দিন যাবে শ্যামাদার কীর্তি পশ্চিমবঙ্গের লোক দেখতে পাবে। আলোর নীচে অন্ধকারটা ক্রমশ প্রকাশিত হবে।’