How to live 100 years: ১০০ বছর বাঁচার ইচ্ছা? মেনে চলুন তাহলে এই ৪টি সহজ উপায়, মনস্কামনা হবে পূর্ণ

বয়স্কদের মুখে একটা কথা সবসময় শুনে থাকবেন, দীর্ঘায়ু হও। তবে এই আশীর্বাদ সকলে করলেও, দীর্ঘায়ু হওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু রোগ জ্বালা নিয়ে ১০০ বছর বেঁচে থাকার কোনও সার্থকতা নেই। তাই শুধু ১০০ বছর বাঁচলেই হবে না, জানতে হবে ভালোভাবে বেঁচে থাকার উপায়।

এই ৪ উপায়ে আপনি সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন ১০০ বছর পর্যন্ত 

 

সুষম খাদ্য: ১০০ বছর সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য সবথেকে বেশি যেটি প্রয়োজন, সেটি হল সঠিক খাবার গ্রহণ করা। আপনি যদি প্রথম থেকেই প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার যুক্ত খাবার আহার করেন, তাহলে একটা বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পর আপনি অসুস্থতায় জর্জরিত হবেন না। অন্যদিকে অ্যালকোহল এবং তামাকজাত পণ্য বাদ দিয়ে দিতে হবে একেবারেই। প্রথম থেকে যদি এই অভ্যাস করেন, তবেই পরবর্তীকালে আপনি শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবেন।

(আরও পড়ুন: বিয়ের নিয়ম শিথিল হবে, ডিভোর্স আরও কঠিন হবে, পরিবারের গুরুত্ব বোঝাতে নয়া নিয়ম চিনে)

সঠিক বিশ্রাম: ৫০ থেকে ৭৫ বছর বয়সের মধ্যে সবথেকে বেশি শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা যাতে আপনাকে জর্জরিত না করতে পারে, তার জন্য এখন থেকেই সঠিক বিশ্রাম ভীষণ প্রয়োজন। আপনি যদি সারাদিনে সাত থেকে আট ঘন্টা বিশ্রাম না নেন, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে গিয়ে আপনার শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বার্ধক্য বয়সে সুস্থ থাকার জন্য এখন থেকেই প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রাম। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, সারাদিনে অন্ততপক্ষে আট ঘন্টা বিশ্রাম নিতেই হবে আপনাকে।

অবসাদমুক্ত: একটি সুস্থ শরীরের জন্য সবথেকে বেশি প্রয়োজন মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় মেডিটেশন এবং যোগ ব্যায়াম করলে পরবর্তীকালে আপনি মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবেন। যত বয়স বাড়বে ততই অবসাদ গ্রাস করবে আপনাকে, কিন্তু আপনি যদি মেডিটেশন এবং প্রাণায়ামের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে পারেন, তাহলে পরবর্তীকালে বার্ধক্য জনিত কোনও সমস্যা হবে না আপনার।

(আরও পড়ুন: আপনার ভাই কি ভোজনরসিক? এডিবেল রাখি দিয়ে চমকে দেবেন নাকি? কেমন করে বানাবেন দেখুন)

প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকা: একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন, গ্রামের মানুষ না শহরের মানুষের থেকে অনেক বেশি সময় বাঁচেন। একটি সুস্থ স্বাভাবিক জীবন পাবার জন্য তাই যথা সম্ভব প্রকৃতির মাঝে থাকার চেষ্টা করুন। টিভি, কম্পিউটার ল্যাপটপ থেকে যতটা পারবেন দূরে থাকুন। প্রকৃতির মাঝে যতটা সময় কাটাবেন আপনি, ততই আপনার দীর্ঘায়ু হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।