আরজি কর মেডিক্যালে নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে আদালতের অনুমতিতে বুধবার থেকে কলকাতার শ্যামবাজারে ধরনায় বসেছে বিজেপি। সেই ধরনা মঞ্চ থেকে ঘটনার দিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিস্ফোরক সব দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রশ্ন তুললেন, দেহ সৎকার করতে এত তৎপরতা কেন দেখাল পুলিশ ও তৃণমূল।
আরও পড়ুন – ফের রক্তে ভিজল তিলোত্তমার মাটি, সাতসকালে আনন্দপুরে উদ্ধার মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ
পড়তে থাকুন – আরজি করে খুনের পরে সঞ্জয়ের ফোন এক পুলিশকে? বারাকে গিয়ে ঘুম, সিবিআইয়ের নজরে এএসআই, প্রশ্ন শুনেই ছুট!
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘যখন প্রথম এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে, বিনীত গোয়েলের নেতৃত্বে তড়িৎগতিতে পোস্ট মর্টেম করে বাড়ির অনুমতি না নিয়ে দাহ করার জন্য যে তাড়াহুড়ো তারা করেছেন, আপনারা দেখেছেন। সেদিনও গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির ৩ জন বলিষ্ঠ নেতানেত্রী লড়াই করেছেন। শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পাল, শ্রী সজল ঘোষ ও কৌস্তভ বাগচী।’
শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক দাবি, ‘আমি কৌস্তভ বাগচীর ফোন থেকে আমাদের অত্যাচারিত বোনের বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেন, আমি চাইছি না এত তাড়হুড়ো করে পোস্ট মর্টেম করাতে। আমি চাইছি দ্বিতীয়বার পোস্ট মর্টেম হোক। নিরপেক্ষ জায়গায় হোক। তার পর বলছেন, শুভেন্দুবাবু আমার ওপরে চাপ রয়েছে। আমার সামনেই আমার মেয়ের দেহ টানতে টানতে কলকাতা পুলিশের মমতার ওই পান্ডারা, গুন্ডারা টেনে হিঁচড়ে নিয়ে চলে গেল। ভারতীয় সংস্কৃতি, সনাতন সংস্কৃতিতে দেহ রাখার পরে যে সম্মান, হিন্দু শাস্ত্রমতে যে ক্রিয়া – কর্ম করতে হয় পুরোহিতকে ডেকে তার ন্যূনতম করার সুযোগ দেয়নি।’
শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন, ‘দেহ পৌঁছনোর আগে শ্মশানে পৌঁছে গেছেন নির্মল ঘোষ, নান্টু। কাঠ সাজিয়ে পানিহাটি শ্মশানে দাঁড়িয়ে আছে। এত তাড়া কীসের মমতা ব্যানার্জি? কী লুকাতে চেয়েছিলেন আপনি?’
আরও পড়ুন – ‘পশ্চিমবঙ্গের সরকার এখন জনগণের বিশ্বাস হারিয়েছে’, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল
বলে রাখি, গত ৯ অগাস্ট সন্ধ্যায় আর জি কর মেডিক্যালে ময়নাতদন্তের পর নির্যাতিতা PGT চিকিৎসকের দেহ দখল করে নেয় কলকাতা পুলিশ। মা – বাবার অনুমতি না নিয়েই দেহ নিয়ে নির্যাতিতার সোদপুরের বাড়িতে হাজির হয় তারা। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন মা – বাবা। সেখানে কিছুক্ষণ রাখার পর পানিহাটির মহোৎসহতলা শ্মশানে দেহ সৎকার করে দেয় পুলিশ।