Bizarre Bar in japan: এই পানশালায় খাবারের পাশাপশি মিলবে থাপ্পড়, লাথি, ঘুষি!

বার কাম রেস্তোরাঁগুলিতে মনোরঞ্জন করতে মাঝে মাঝেই যান গ্রাহকরা। তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন, ভারতের বাইরে জাপানের বারগুলি হয় বিভিন্ন থিম যুক্ত। কোনও বার যেমন হয় ল্যাবরেটরি থিম যুক্ত আবার কোনও বারকে বলা হয় নিনজা রেস্তোরাঁ। এমনই একটি বার হল জাপানের টোকিওতে অবস্থিত ‘মাসল গার্লস বার’।

সম্প্রতি সাউথ চাইনা মর্নিং পোস্ট-এর একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই বারের কথা। এই বারে শক্তিশালী এবং পেশীবহুল মহিলাদের নিয়োগ করা হয়, যাদের কাজ গ্রাহকদের চড় বা লাথি মারা। শুধু তাই নয়, গ্রাহকদের কোলে করেও নিয়ে যান এই মহিলারা। এই বারে যে সমস্ত মহিলারা কাজ করেন তাঁদের একেকজনের ওজন ৫০ কেজি হলেও তারা অনায়াসে ১৩০ কেজি ওজনের গ্রাহকদের কোলে নিয়ে নিতে পারেন।

(আরও পড়ুন: বাড়ি না জাদুঘর! সোনম কাপুরের মুম্বইয়ের বাড়ি দেখলে চোখ কপালে উঠে যাবে আপনার)

এই মহিলা কর্মীরা ব্রাজিলিয়ান জিউ জিতসু ট্রেনিং প্রাপ্ত হয়ে থাকেন। এই মহিলাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার পেশায় কুস্তিগীরও। ফিটনেসের দিক থেকে এনারা ১০ বল দিতে পারেন যে কোনও মানুষকে। এই মহিলাদের মাসিক আয় প্রায় ৩০ হাজার ইয়েন অথবা ১৭ হাজার টাকা।

জাপানে এই অনন্য বারটি খুলেছিলেন একজন প্রাক্তন ফিটনেস তথা ইনফ্লুয়েঞ্জার হ্যারি। ২০২০ সালে মহামারীর কারণে হ্যারির জিম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি এই ফিটনেস থিম যুক্ত বারটি খুলেছিলেন। ভারতে যে সমস্ত কাজ পুরুষ কর্মীরা করেন, এই বারে সেই কাজ করতে আপনি দেখবেন মহিলাদের।

 

জনপ্রিয় এই ইউটিউবার সাউথ চায়না মর্নিং- এ সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, ‘একবার এক অস্ট্রেলিয়ান গ্রাহককে তিনি চড় মেরেছিলেন। তারপর থেকেই এই কথা সকলের মুখে মুখে ছড়িয়ে যায়। কিছু বন্ধুরা বিশেষভাবে থাপ্পড় দেওয়ার পরিষেবার জন্য এসেছিলেন তাঁর কাছে। তারপর থেকেই তাঁর মাথায় এই বার খোলার চিন্তাভাবনা আসে।’

(আরও পড়ুন: ১০০ বছর বাঁচার ইচ্ছা? মেনে চলুন তাহলে এই ৪টি সহজ উপায়, মনস্কামনা হবে পূর্ণ)

জাপানের এই বিশেষ রেস্তোরাঁর কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বহু মানুষ এই রেস্তোরাঁর চিন্তা ভাবনার প্রশংসা করেছেন। এক মহিলা গ্রাহক সামান্তা লো এই বারের মহিলা কর্মীদের প্রশংসা করে বলেন,’আমি এই বারে এসে ভীষণ স্বাধীন মনে করি নিজেকে। যারা জাপানি মহিলাদের দুর্বল মনে করেন, তাঁদের চিন্তাধারা বদলে যাবে এই বারে এলে।’

একজন আবার এই বারের চিন্তাভাবনাকে নিন্দা করে বলেন, ‘আমি জানি না কেন এই বারে কেউ আসবে। শুধু শুধু শারীরিক ব্যথা অনুভব করার জন্য কেউই আসবে না। এটা শুধুই পাগলামি। এরকম থিম যুক্ত বার তৈরি করার কোনও মানে হয় না।’