Mehta vs Sibal: ‘১টা মেয়ে মারা গিয়েছে, নিদেনপক্ষে হাসবেন না’, SC-তে রাজ্যের আইনজীবী সিব্বলকে তোপ সলিসিটর জেনারেল মেহতার

আরজি কর মামলার শুনানির সময় কপিল সিব্বলকে তুলোধোনা করলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে শুনানির সময় একটি বিষয় নিয়ে রাজ্যের আইনজীবী সিব্বল এবং সিবিআইয়ের মেহতার মধ্যে কথার লড়াই শুরু হয়। সেইসময় একবার হালকা হাসিমুখে কিছু বলতে থাকেন রাজ্যের আইনজীবী। আর তাতেই চূড়ান্ত উষ্মাপ্রকাশ করেন সলিসিটর জেনারেল। বেশ ক্ষোভের সুরে তিনি বলেন, ‘একজন মারা গিয়েছে। নিদেনপক্ষে হাসবেন না। সবথেকে অমানবিক এবং অসম্মানজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে।’

‘১৫১ মিলিগ্রাম সিমেন’-র তত্ত্বে বিরক্ত সুপ্রিম কোর্ট

তারইমধ্যে ‘১৫১ মিলিগ্রাম সিমেন’ পাওয়ার যে তত্ত্ব ছড়িয়েছিল, তা বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতে শুনানির সময় এক আইনজীবী উল্লেখ করেন যে তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ১৫০ গ্রাম ‘সিমেন’-র (বীর্য) কথা বলা হয়েছে। তাতে রীতিমতো উষ্মাপ্রকাশ করেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: RG Kar Rape and Murder Case: আরজি কর কাণ্ডে পুলিশই জানে না কখন রুজু হয়েছে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা! চরম বিভ্রান্তি SC-তে

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘শুনানির সময় সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করবেন না। আমাদের কাছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আছে। আমরা জানি যে ১৫১ মিলিগ্রাম বলতে কী বোঝানো হচ্ছে।’

রাজ্যের ভূমিকায় ‘সুপ্রিম’ অসন্তোষ

তবে সার্বিকভাবে আজ রাজ্য সরকারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কখন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে, কখন ময়নাতদন্ত হয়েছে, সেইসব প্রশ্নের মুখে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় উষ্মাপ্রকাশ করে বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা তো বলেন, ‘(আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায়) আপনার রাজ্য সরকার যে পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে, যা আমার ৩০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখিনি।’

আরও পড়ুন: RG Kar Junior Doctor Rape Case Update: গণধর্ষণের শিকার হননি RG করের তরুণী ডাক্তার, ইঙ্গিত মিলল CBI তদন্তে- রিপোর্ট

RG কর হাসপাতালে CISF

সুপ্রিম কোর্টে যখন শুনানি চলছে, সেইসময় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। আরজি করের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসেন সিআইএসএফের জওয়ানরা। তাঁদের মধ্যে অনেকে মহিলা জওয়ানও আছেন। সূত্রের খবর, প্রশাসনিক ভবনের সামনেই তাঁদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে। কোথায় কারা দায়িত্ব থাকবেন, তা বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। তারপর পুরোপুরি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল।

আরও পড়ুন: Suvendu vs Mamata over resignation: ‘সোমবারের মধ্যে মমতা ইস্তফা না দিলে মঙ্গলবার গুলি….’, বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী!