কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শনিবার বলেছেন, জনগণনা উপযুক্ত সময়েই করা হবে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে এটি ঘোষণা করা হবে।
আদমশুমারির বাড়ি তালিকা পর্ব এবং জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন আপডেট করার মহড়া ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে পরিচালিত হওয়ার কথা ছিল তবে কোভিড -১৯ এর দাপটের কারণে এটি স্থগিত করা হয়েছিল।
উপযুক্ত সময়ে আদমশুমারি করা হবে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ বলেন, ‘যখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে, তখনই আমরা এ বিষয়ে ঘোষণা করব।
তিন দিনের ছত্তিশগড় সফরে গিয়ে শনিবার মাওবাদী প্রভাবিত রাজ্যগুলির নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে নকশাল সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
জনগণনা কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে এবং সরকার এখনও নতুন তফসিল ঘোষণা করেনি।
বেশ কয়েকটি বিরোধী দল জাতিগত জনগণনার দাবি জানিয়ে আসছে।
তবে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই ইস্যুতে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা করা হয়নি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেহেতু এ বছর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই সময় স্বল্পতার কারণে ২০২৪ সালে আদমশুমারি করার সম্ভাবনা কম।
এছাড়া, এবারের বাজেটে জনগণনা সমীক্ষা ও পরিসংখ্যানের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ১৩০৯.৪৬ কোটি টাকা।
গোটা জনগণনা এবং এনপিআর প্রক্রিয়ার জন্য সরকারের ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
এই অনুশীলন, যখনই ঘটুক না কেন, নাগরিকদের স্ব-গণনার সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি হবে।
যেসব নাগরিক সরকারি গণনাকারীদের মাধ্যমে নয়, নিজেরাই জনগণনার ফর্ম পূরণের অধিকার প্রয়োগ করতে চান তাদের জন্য এনপিআর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এর জন্য, আদমশুমারি কর্তৃপক্ষ একটি স্ব-গণনা পোর্টাল তৈরি করেছে যা এখনও চালু করা হয়নি।
স্ব-গণনার সময়, আধার বা মোবাইল নম্বর বাধ্যতামূলকভাবে সংগ্রহ করা হবে।
রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং জনগণনা কমিশনারের কার্যালয় জিজ্ঞাসা করার জন্য ৩১ টি প্রশ্ন প্রস্তুত করেছিল। একটি পরিবারের টেলিফোন, ইন্টারনেট সংযোগ, মোবাইল বা স্মার্টফোন, সাইকেল, স্কুটার বা মোটরসাইকেল বা মোপেড আছে কিনা, তাদের গাড়ি, জিপ বা ভ্যান আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
নাগরিকদের কাছে জানতে চাওয়া হবে তারা পরিবারে কী ধরনের খাদ্যশস্য খাচ্ছেন, পানীয় জলের প্রধান উৎস, আলোর প্রধান উৎস, টয়লেটের ধরণ, টয়লেটের ধরণ, বর্জ্য জলের আউটলেট, স্নানের সুবিধার প্রাপ্যতা, রান্নাঘর এবং এলপিজি/পিএনজি সংযোগের প্রাপ্যতা, রান্নার জন্য ব্যবহৃত প্রধান জ্বালানী, রেডিও, ট্রানজিস্টর, টেলিভিশনের সহজলভ্যতা।
নাগরিকদের বাড়ির মেঝে, দেওয়াল এবং ছাদের প্রধান উপাদান, বাড়ির অবস্থা, পরিবারে সাধারণত বসবাসকারী ব্যক্তিদের মোট সংখ্যা, পরিবারের প্রধান একজন মহিলা কিনা, পরিবারের প্রধান তফসিলি জাতি বা তফসিলি উপজাতি কিনা, পরিবারের একচেটিয়াভাবে দখলে থাকা আবাসের সংখ্যা সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করা হবে। অন্যদের মধ্যে পরিবারে বসবাসকারী বিবাহিত দম্পতির সংখ্যা।