‘মৃতদেহ মর্গে রাখলে সন্দীপ ঘোষ ফেঁসে যেত, ও সব জানে, ও খুন করেছে’

আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন হাসপাতালের শবাগারের প্রাক্তন কর্মী তারক চট্টোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, মৃতদেহ সংরক্ষণ করলে সন্দীপ ঘোষ ফেঁসে যেত। তাই তড়িঘড়ি দেহ পুড়িয়ে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন – সঞ্জয় যেন ধনঞ্জয় না হয়, আরজি করের অভিযুক্তের প্রতি সমবেদনার সুর মমতার মন্ত্রীর গলায়

পড়তে থাকুন – ‘চার বার মদ্যপানের পর ২ বার যৌনপল্লি ঘুরে এসে কারও দেহে খুন করার শক্তি থাকে?’

 

তারকবাবু বলেন, ‘দেহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা হলে কুখ্যাত অধ্যক্ষ তো ফেঁসে যেত। তাড়াতাড়ি পুড়িয়ে না দিলে প্রমাণগুলো থেকে যেত। পুলিশ চাইলে মৃতদেহ হাসপাতালেই সংরক্ষণ করা যেত। হাসপাতালে ৪২টি মৃতদেহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে সম্পূর্ণ সুরক্ষিতভাবে দেহ রাখা যেত। কিন্তু রাখলে সন্দীপ ঘোষ ফেঁসে যেত। ও সব জানে। ও খুন করেছে। ওর লোক খুন করেছে।’

তাঁর প্রশ্ন, ‘সকাল বেলা কেন DME চলে এসেছিলেন? আরো অনেকে ছিলেন। কেন এসেছিলেন ঘটনাস্থলে? ফরেন্সিক মেডিসিনের লোকও সেখানে গিয়েছে। তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। ভাঙার দরকার কী ওই জায়গাটা? ওই বেসিনে খুনের পর হাত ধোওয়া হয়েছিল। দেওয়ালে যারা হাত দিয়েছে তাদের হাতের ছাপ ছিল। এটা একজনের কাজ নয়।’

আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। এমনকী ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কারচুপির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠছে, এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবে জড়িত না হলে কেন তথ্য গোপন করে খুনকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করলেন সন্দীপবাবু? কেন সাত তাড়াতাড়ি দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করল পুলিশ? আর এসব হল কার নির্দেশে?