‘আরজি কর কাণ্ডে মমতার বিরুদ্ধে পথে নামলে বন্ধ করে দেওয়া হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’

আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রচারে নামলে বন্ধ করে দেওয়া হবে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। প্রকাশ্য সভায় এই হুমকি দিলেন এক তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, লোকসভা ভোটের পর রেশনের চাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবার সরকারি প্রকল্পের টাকাও বন্ধ করে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন – RG কর তদন্তে CBI-কে পথ দেখাচ্ছে পুলিশ, হাতে তুলে দিয়েছে ৫৩ ‘প্রমাণ’, ৯টি সঞ্জয়ের

পড়তে থাকুন – ‘আরজি করের নির্যাতিতার দেহ সৎকারের শ্মশান খরচ দিল কে? শ্মশানে কে করল সই?’

 

আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে কোচবিহারের শীতলকুচির গোঁসাইয়ের হাটে মিছিল করে তৃণমূল। মিছিলের পর পথসভা থেকে দলের ব্লক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অশোককুমার রায় বলেন, ‘লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীরা বলেছিল, মোদী চাল না দিলে দিদি কোথা থেকে দেবে? ভোটের পরে তাদের খুঁজে বার করে রেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতেই তারা হাতে পায়ে ধরছে। এবার আরজি কর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তারা আবার চক্রান্ত শুরু করেছে। এবার যারা চক্রান্ত করবে তাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্প সহ সমস্ত সরকারি সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

তৃণমূল নেতার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে বিজেপির শীতলকুচি বিধানসভার আহ্বায়ক কনকচন্দ্র বর্মন বলেন, ‘বিরোধী রাজনীতির সমর্থকদের রেশন বন্ধ করে দিয়ে তা আবার প্রকাশ্য জনসভায় বড় মুখ করে বলছেন তৃণমূল নেতা। ভেবে দেখুন পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রের কী দশা। তৃণমূল যে প্রতিবাদের নামে নাটক করছে তা সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে। তাই গণরোখ রুখতে তারা হুমকি দেওয়া শুরু করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈত্রিক টাকায় রাজ্য সরকার অনুদান দেয় না। অনুদান দেয় সাধারণ মানুষের করের টাকায়। তাই প্রকল্প বন্ধ করার কোনও অধিকার তৃণমূলের নেই। তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যে স্পষ্ট সাধারণ মানুষের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গী কতটা নীচ। তৃণমূল এই কাজ করলে গণরোষ আরও বাড়বে।’

আরও পড়ুন – ‘বহুত কুছ এভিডেন্স হ্যায়!’ হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই জানাল সিবিআই, তল্লাশি রাতেও

তবে ব্লকের সাধারণ সম্পাদকের দাবি অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা কমিটির চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কারও রেশনের চাল বন্ধ করেনি। এই ধরণের কোনও মন্তব্য কেউ করে থাকলে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।’