7 popular khichri: বর্ষার দিনে রইল ৭ ধরনের খিচুড়ির হদিশ! এই লোভনীয় পদের রকমফের দেশের কোন প্রান্তে কেমন?

বর্ষাকাল হোক বা ঠাকুরের ভোগ, খিচুড়ি ছাড়া সবকিছুই যেন অসম্পূর্ণ। এমনকি অসুস্থতার সময়ও খিচুড়ি শারীরিকভাবে সুস্থ করে দেয় মানুষকে। ভাত এবং ডালের সংমিশ্রণে প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হল খিচুড়ি। তবে খিচুড়ি এক প্রকার হয় না, বিভিন্ন রাজ্যে এই খিচুড়ি তৈরি করার পদ্ধতি যেমন বিভিন্ন রকম, তেমন নামও আলাদা।

সারা ভারতের ৭ রকম খিচুড়ির নাম 

 

তামিলনাড়ুর পোঙ্গল: এই খিচুড়ি সাধারণত তামিলনাড়ুতে ফসল কাটার সময় তৈরি করা হয়। মসুর ডাল, চাল এবং প্রচুর খাঁটি ঘি দিয়ে এই খিচুড়ি তৈরি করা হয়। এটি যেমন মসলাদার হয় তেমন হয় মিষ্টি। মিষ্টি বা চাক্কারা পোঙ্গল শুকনো ফল দিয়ে খাওয়া হয় এবং পুজোর সময় এটি নিবেদন করা হয় ঈশ্বরকে। অন্যদিকে মসলাদার খিচুড়ি বা ম্যাঙ্গালু পোঙ্গল গুঁড়ো মরিচের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।

অন্ধ্রপ্রদেশের কিমা খিচুড়ি: এটি আমিষ ভোজীদের কাছে ভীষণ প্রিয় একটি খিচুড়ি। এই কিমা খিচুড়ি হায়দ্রাবাদের নিজাম দ্বারা ভারতে এসেছিল। এই খিচুড়ির প্রধান উপকরণ হল চাল, মসুর ডাল এবং মাংস। মাংস আপনি যা খুশি ব্যবহার করতে পারেন। এই খিচুড়ির সঙ্গে সাইড ডিস হিসাবে ‘খাট্টা’ নামক একটি পদ খাওয়া হয়।

(আরও পড়ুন: জলে ভিজে দ্রুত মোজা দিয়ে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? নিস্তার পাবেন এটি বাড়িতে থাকলেই)

গুজরাটের খিচুড়ি: আহমেদাবাদের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান আহমেদ শাহ এই খিচুড়ির অনুরাগী ছিলেন। এই খিচুড়ি গুজরাটে এতটাই জনপ্রিয় যে এটি অন্য কোনও পদ ছাড়াই খাওয়া যায়। মূলত এই খিচুড়ি হয় মিষ্টি, তাই এটি খাওয়ার সময় অন্য কোনও পদের প্রয়োজন হয় না।

কর্নাটকের বিসি বেলে ভাত: এই খিচুড়িটি একেবারে অন্যরকম ভাবে তৈরি করা হয় কারণ এতে মুগ ডালের পরিবর্তে দেওয়া হয় তুর ডাল। স্বাদের পার্থক্যের অন্যতম আরও একটি কারণ হলো এটি তৈরি করার সময় ৩০ রকম মসলা দেওয়া হয়। বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং দেশি ঘি দিয়ে তৈরি হওয়া এই খিচুড়ি একবার খেলেই মুখে লেগে থাকবে।

বিহারী খিচুড়ি: বিহারের এই জনপ্রিয় খিচুড়ি তৈরি করার সময় দেওয়া হয় চাল, আদা, মুগ ডাল, লঙ্কা, কালো ছোলা, হিং এবং ঘি। প্রায় প্রত্যেক শনিবার বিহারে এই খিচুড়ি রান্না হতে দেখবেন আপনি। এটি খাওয়া যায় কাঁচা পেঁয়াজ, পাঁপড়, আচার, বেগুন দিয়ে খাওয়া যায়।

(আরও পড়ুন: লটারি জিতে ধন্যবাদ দিলেন নিজের প্রিয় মৃত পোষ্যকে, কেন এমন করলেন এই ব্যক্তি?)

বাংলা খিচুড়ি: বাংলার এই খিচুড়ি মূলত নিরামিষ খিচুড়ি হয় কারণ এই খিচুড়ি প্রধানত পুজোর ভোগের প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয়। এই খিচুড়ি তৈরি করার সময় লাগে চাল, ভাজা মুগ ডাল, দেশি ঘি এবং আদা। এতে কোনও প্রকার রসুন বা পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয় না। বিভিন্ন রকমের সবজি দিয়ে এই খিচুড়ি তৈরি করা হয় বলে এর স্বাদ হয় অনন্য। বেগুন ভাজা, ইলিশ মাছ, চাটনি এবং পাঁপড় দিয়ে এই খিচুড়ি খেতে লাগে দুর্দান্ত।

রাজস্থানী খিচুড়ি: রাজস্থানী খিচুড়ি একেবারে অন্যরকম হয় কারণ এতে চাল ব্যবহার করা হয় না। এটি তৈরি করা হয় জোয়ার বা বাজরা দিয়ে। সাধারণত দই, রসুন, চাটনি বা আচারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় এই খিচুড়ি। কিছু কিছু মানুষ আবার ভাজা শুকনো ফল দিয়েও এই খিচুড়ি খেতে পছন্দ করেন।