সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গিয়ে বাংলাদেশি জঙ্গিদের হামলার মুখেও অটল BSF

সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে কাঁচাতারের বেড়া ও আলো লাগাতে গিয়ে বাংলাদেশি জঙ্গিদের হামলার মুখে পড়লেন বিএসএফ জওয়ানরা। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী ও গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে সীমান্তের ওপারে থাকা জঙ্গিরা পাথরবৃষ্টি করে বলে অভিযোগ। তবে যাবতীয় বাধা উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বিএসএফ।

আরও পড়ুন – কে খুন করেছে আরজি করের নির্যাতিতাকে? পলিগ্রাফ টেস্টে বিস্ফোরক দাবি সঞ্জয় রায়ের

পড়তে থাকুন – কালীমূর্তি ভাঙচুরে অভিযুক্তদের ১২টি বাড়ি জ্বালিয়ে দিল বিক্ষুদ্ধ জনতা

 

বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টির পর থেকে সেদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের প্রবণতা বাড়ছে। আর এই জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁটাতারের বেড়াহীন সীমান্তগুলিকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ সীমান্ত সমস্ত বেড়াহীন এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া শুরু করেছে বিএসএফ। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ সীমান্তের বাগডোকরা, ফুলকাডাবরি, ভুল্লারডাঙা ও নাকারেরবাড়িতে জরুরিকালীন ব্যবস্থা হিসাবে বিদ্যুতের আলোর ব্যবস্থা করছে বিএসএফ। আর তাতেই আপত্তি সীমান্তের অপরপাড়ে বসবাসকারীদের। অভিযোগ, বিএসএফ নিযুক্ত ঠিকাদারের কর্মীরা সেখানে কাজ করতে গেলেই ইটবৃষ্টি করছে ওপারের জঙ্গিরা। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বিঘা করিডর লাগোয়া দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা সীমান্তে প্রায় ১৫ কিলোমিটার কাটাতারের বেড়াহীন। সেখানে অস্থায়ী বেড়া দিতে গিয়েও হামলার মুখে পড়তে হয়েছে বাহিনীকে।

আরও পড়ুন – অসমে প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে ঝাঁপ দিল ধর্ষক, মালদায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

শনিবার বিএসএফ শ্রমিকদের নিয়ে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া লাগাতে গেলে সীমান্তের ওপার থেকে বেড়া দেওয়া যাবে না বলে চিৎকার করতে থাকে কিছু মানুষ। এর পর বিএসএফকে লক্ষ্য করে ইঁট ছুড়তে থাকে তারা। বিএসএফ সূত্রে দহগ্রাম – অঙ্গারপোতা ছিটমহলে কাঁটাতারের বেড়া নেই। সেখানে রাস্তাও ভালো নয়। নদী, নালা, বাঁশঝাড়ের ভিতর দিয়ে বিএসএফকে সীমান্ত পাহারা দিতে হয়। দিনের বেলা কৃষিজমিতে দাঁড়িয়ে সীমান্ত পাহারা দেন জওয়ানরা। কিন্তু রাতে সীমান্ত পাহারা দিতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে যেমন একদিকে অনুপ্রবেশ চলছে, তেমনই চলছে পাচার। আর বাধা দিলেই বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা অস্ত্র নিয়ে সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।

এই অবস্থায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ভারত ভূখণ্ডে থাকা গ্রামগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে। তবে তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে বিএসএফ।