Nirmala Sitharaman: কৃষি ঋণ সহ গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিকে একগুচ্ছ টার্গেট দিলেন অর্থমন্ত্রী সীতারামন – Nirmala Sitharaman: ‘Improve banking services’

ভারতের উন্নয়নের স্বার্থে একজোট হতে হবে আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিকেও। জনসাধারণের সুবিধার্থে শক্তিশালী স্থানীয় নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। উদয়পুরে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে বসে ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের কাছে এমনটাই অনুরোধ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

আরও পড়ুন: (করোনার সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্যাব শেয়ারিং ফিচার ফেরাল Ola)

পশ্চিম-মধ্য অঞ্চলের আরআরবি চেয়ারপারসন এবং সিইওদের সঙ্গে এদিনের বৈঠকে, আরও জোর দিয়ে সীতারামন বলেছেন, স্থানীয় সংযোগ বাড়লে, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা আরও উন্নত হবে এবং দেশকে এগিয়ে নেওয়ার মূল চাবিকাঠি হয়ে উঠবে এটি। ব্যাঙ্কিং খাতে কী কী চ্যালেঞ্জ আসছে, সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য কী কী কার্যকর পরিকল্পনা করা দরকার, গত এক বছরে ব্যাঙ্কগুলোর কর্মক্ষমতা কেমন ছিল, এদিনের বৈঠকের এই সবটাই খতিয়ে দেখেছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: (Fake Loan Apps Identification: অনলাইনে লোন নিতে গিয়ে জড়াচ্ছেন প্রতারণার জালে! বাঁচাতে এবার নতুন বুদ্ধি আঁটল RBI)

সরকারি স্কিমগুলোর প্ৰচারে জোর অর্থমন্ত্রীর

এদিন সীতারামন আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিকে একসঙ্গে কাজ করতে উৎসাহিত করেছেন। জনগণকে আরও উপকৃত করার জন্য সরকারি প্রকল্পগুলি নিয়ে কাজ করার দিকেও উৎসাহিত করেছিলেন। এদিন সীতারামন গুজরাট এবং রাজস্থানে প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর প্রকল্পের কথা তুলে ধরেছেন প্রকল্পগুলো যাতে সহজে সাধারণের কাছে পৌঁছে যায়, এবং তাঁরা এই লোনের সুবিধা নিতে পারেন, তার জন্যও ব্যাঙ্কগুলোকে বেশি করে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী।

আমজনতার সুবিধার জন্য ‘এক জেলা, এক পণ্য’ প্রোগ্রামের উপরও জোর দিয়েছেন তিনি। পিএম বিশ্বকর্মা স্কিমটিও যাতে ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে পারে। সে প্রসঙ্গেও আরআরবি-কে পরামর্শ দিয়েছেন। উপরন্তু, কৃষি ঋণে অংশীদারিত্ব বাড়ানোর দিকেও জোর দেন নির্মলা সীতারামন।

আরও পড়ুন: (Maruti Suzuki Fronx: জাপানের বাজারে লঞ্চ হবে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ গাড়ি, রপ্তানি শুরু মারুতি সুজুকির)

ব্যাঙ্কের আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল

২০২২ সালে নিয়মিত পর্যালোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে, পশ্চিম কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নয়টি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের প্রযুক্তি আপগ্রেডে সন্তোষজনক উন্নতির কথাও স্বীকার করেছে অর্থমন্ত্রী। তথ্য অনুসারে, ব্যাঙ্কের আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল, সেটা নির্ধারণের যে অনুপাত হয়, তা ২০২১ সালে ছিল ৭.৮ শতাংশ। আর ২০২৪ সালে এই অনুপাত বেড়ে হয়েছে ১৩.৭ শতাংশ। ব্যাঙ্কগুলির লাভের মার্জিনও উন্নত হয়েছে, ২০২১ অর্থ বছরের ৪১ কোটি টাকার ক্ষতি, ২০২৪ অর্থবছরে এসে ২০১৮ কোটি টাকার মুনাফা দেখেছে। উপরন্তু, খারাপ ঋণের হারও তুলনামূলকভাবে কম ছিল। পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলি শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসাবে ২৭৮৩০ কোটি টাকা দিয়েছে। সবমিলিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ব্যাঙ্কগুলির পারফরম্যান্স ভাল ছিল।