WB Police on Nabanna Abhijan: বাংলার ছাত্ররা এই অসভ্যতামি করে না, ‘নিহিত স্বার্থে’ নবান্ন অভিযান, দাবি পুলিশের

নবান্ন অভিযানের নামে যা চলেছে, তা তাণ্ডব বললেও কম বলা হবে। ‘তাণ্ডব’ বিশেষণটা ব্যবহার করলেও সঠিকভাব সেই গুন্ডামির ব্যাখ্যা করা যাবে না। এমনই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) দাবি করেন যে পশ্চিমবঙ্গের প্রকৃত ছাত্ররা এরকম অসভ্যতামি এবং গুন্ডামি করতে পারে না। বরং ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নামে নিহিত স্বার্থ চরিতার্থ করতে নেপথ্য কোনও শক্তির ইন্ধনে আজ এই ঘটনা ঘটেছে’ বলে দাবি করেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ)। তাঁর কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নামে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আন্দোলনের যে চেহারা দেখা গেল, তাতে মনে হয় না যে পশ্চিমবঙ্গের কোনও প্রকৃত ছাত্রছাত্রী এরকম গুন্ডামি করতে পারে। আমরা সেটা বিশ্বাসও করি। পশ্চিমবঙ্গের কোনও প্রকৃত ছাত্র এরকম অসভ্যতা করতে পারে না।’

‘পুলিশকে লক্ষ্য করে লাঠিসোঁটা-ইট বৃষ্টি’

রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) দাবি করেন, আজ আন্দোলন কতটা শান্তিপূর্ণ থাকল, তা সকলে দেখেছেন। আন্দোলনকারীরা এলেন। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’-র প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাঁরা ব্যারিকেড ধরে ঝাঁকাতে শুরু করলেন। বারবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আর্জি জানানো হয়। কিন্তু তারপরও ভাঙা হয় ব্যারিকেড। ভাঙা হয় গার্ডরেল। পুলিশকে লক্ষ্য করে লাঠিসোঁটা-ইট বৃষ্টি করা হয়। মারধর করা হয় পুলিশকে। রক্তাক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন: Explosive post on Nabanna Abhijan: ‘হেলিকপ্টার রেডি, পালানোর প্রস্তুতি চলছে শুনলাম’, নবান্ন অভিযানের মধ্যে বড় কথা

‘দুষ্কৃতী আন্দোলন, ফাঁদে পা দেয়নি পুলিশ’

রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) জানান, পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার কথা হয়েছিল। কিন্তু অশান্তিপূর্ণ আন্দোলন হল। দুষ্কৃতী আন্দোলন বলা যেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজের নামে একদল দুষ্কৃতীর বেপরোয়া, বেলাগাম তাণ্ডবের সাক্ষী থাকল রাজ্য। তাঁর কথায়, ‘তাণ্ডব ছাড়া কী বিশেষণ প্রয়োগ করা যায়, তা আমরা জানি না। তাণ্ডবও বোধহয় খুব নরম বিশেষণ হল। সম্পূর্ণ বিনা প্ররোচনায় সেই কাজটা করা হয়।’

আরও পড়ুন: Kolkata Metro Timetable today: রাস্তা বন্ধ, কলকাতার কোন লাইনে কখন শেষ মেট্রো ছাড়বে? হাওড়ায় যাত্রী বাড়ল ৬৭%

সেখানেই থামেননি রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ)। তিনি ইঙ্গিত দেন, আন্দোলনকারীরা চাইছিলেন যে গুলি চালানো হোক। কিন্তু সেই পথে হাঁটেনি পুলিশ। বজায় রেখেছে সংযম। তাঁর কথায়, একদল আন্দোলনকারী চাইছিলেন যে পুলিশ এমন কিছু করে ফেলুক, যাতে তাঁদের সুবিধা হয়। কিন্তু পুলিশ সেই ফাঁদে পা দেয়নি। যেখানে যতটুকু প্রয়োজন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে এবং শান্তি বজায় রাখতে ন্যূনতম বলপ্রয়োগ করতে হয়েছে। 

আরও পড়ুন: Debangshu on ‘MBA in History’: ‘বাংলায় বিটেক হলে আরও খুশি হতাম’, নবান্ন অভিযানের ‘মুখ’ ইতিহাসে ‘MBA’ করায় খোঁচা

ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হবে

রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা এবং কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) দাবি করেন, কমপক্ষে ১৫ জন পুলিশ আধিকারিক আহত হয়েছেন। অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে অনেককে। ভিডিয়ো ফুটেজ থেকে বাকিদেরও চিহ্নিত করে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।