Kolkata Police sergeant lost Eyesight: বিক্ষোভকারীদের ইটের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারালেন বছর ৩৭’র পুলিশ সার্জেন্ট

গতকাল নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জে জখম হন বহু বিক্ষোভকারী। আবার বিক্ষোভকারীরাও পালটা ইট-পাটকেল ছুড়ে জখম করেছিল পুলিশকে। এমনই ভাবে কর্তব্যরত অবস্থায় চোখে ইটের বাড়ি খেয়েছিলেন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী। বয়স ৩৭ বছর। জানা গিয়েছে, তিনি তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল হাওড়ায় কর্তব্যরত ছিলেন দেবাশিস চক্রবর্তী। ইএসডি ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন তিনি। সেখানেই ইটের আঘাতে চোখ ফেটে রক্ত বের হচ্ছিল তাঁর। এই আবহে আজ, বুধবার তাঁর চোখে অস্ত্রোপচার হয়। পরে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, দেবাশিসের বাম চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল নবান্ন অভিযান ঘিড়ে গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হলেও বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনিক ভবনের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এর জেরে নবান্নর ভিতরে কর্মীদের মধ্যেও সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পরে অফিস থেকে ফেরার পথেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয় অনেক সরকারি কর্মীকে। তবে আজকে বনধ ডাকায় অনেকেই নবান্নেই থেকে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বনধের আবহে পরিবহণের কী হাল থাকবে, সেই বিষয়ে সংশয়ে থাকায় অনেক সরকারি কর্মীই রাত কাটান নবান্নে। প্রসঙ্গত, গতকাল দুপুর ৩টে নাগাদ হাওড়ার চ্যাটার্জি হাটের দিকে থেকে বেশ কয়েক জন আন্দোলনকারীকে নবান্নের উত্তর গেটের দিকে এগিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত তাদের নবান্নের গেটের ১০০ মিটার আগে আটকে দেওয়া হয়।

এদিকে গতকালকের নবান্ন অভিযানের আবহে গ্রেফতার করা হয়েছে ২০০-র বেশি মানুষকে। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই পুরুষ। কয়েকজন মহিলাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, নবান্ন অভিযানে গিয়ে গ্রেফতার হতে হয়েছে মোট ২২০ জনকে। শুধু কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ১২৬ জন। তাঁদের মধ্যে ১০৩ জন পুরুষ এবং ২৩ জন মহিলা। রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃতের সংখ্যা ৯৪। নবান্ন অভিযানে মোট ১৫ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।

নবান্ন অভিযানের প্রসঙ্গে ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে তিনি নিজে হাওড়া ব্রিজের কাছে হাজির ছিলেন। আন্দোলনকারীদের শান্তি বজায় রাখার জন্য বারবার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি আন্দোলনকারীরা। উলটে পুলিশকে লক্ষ্য করে মুহূর্মুহূ ইট ছোড়া হয়েছিল। সেখান থেকে পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভাঙারও চেষ্টা করেন বলে দাবি ইন্দিরার।