Nabanna Abhijan:জলকামানের সামনে চুড়ি দেখাননি, মুখ খুললেন নবান্ন অভিযানের মুখ সাধু বলরাম, কেন গিয়েছিলেন ছাত্র আন্দোলনে?

ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান। তথাকথিত অরাজনৈতিক ব্যানারে এটা করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। সেই কর্মসূচিতে একাধিক ছবি বাংলার নজর কেড়েছিল। তার মধ্যে একটা ছবি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আপাতভাবে তাঁকে সাধু সন্ন্যাসী বলেই মনে হচ্ছিল। জল কামানের তোড়ে যখন যুবকরা ছত্রভঙ্গ তখন সেই মানুষটিকে দেখা যায় হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন। অকুতোভয়। এরপর তিনি কিছুটা ব্যারিকেডের দিকে এগিয়ে তিনি চুড়ি দেখান। এদিকে তাঁকে অনেকেই আন্দোলনের নির্ভয় মুখ বলে উল্লেখ করেছিলেন। আবার অনেকের কটাক্ষ ছিল ছাত্র সমাজের আন্দোলনে সাধু কী করছিলেন?

এবার সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে মুখ খুলেছেন তিনি। তিনি বলরাম বসু।

ছাত্র সমাজের আন্দোলনে আপনি গেলেন কেন?

তিনি জানিয়েছেন, ছাত্র সমাজের সেই আন্দোলনে বলা হয়েছিল প্রতি বাড়ি থেকে একজন যেতে পারেন। আমার ঘরে মেয়েরা আছে। দিদি আছেন। তাদের সুরক্ষাটা আমাদের দেখতে হবে। যে জায়গায় নারীদের সম্মান থাকে না সেখানে দেবতা অবস্থান করেন না। এই সমাজ ঠিকঠাক থাকে, নারীদের সম্মান মেলে, সব ঠিকঠাক করে পড়াশোনা করুক এটা আমরা চাই।

জলকামান চলছিল আর আপনি তেরঙ্গা নিয়ে জলকামানের মুখে, কীভাবে করলেন?

তিনি বলেন, অরবিন্দ ঘোষ বলে এক মহান বিপ্লবী ছিলেন তিনি বলেছিলেন যদি কোনও কাজ করতে হয় সেটা করো, না হলে মারা যাও। এই আন্দোলনের মাধ্যমে একটা বার্তা দিতে হত, আমার মন্ত্র ছিল ওদের তরফে একটা বার্তা পৌঁছতে আর যদি না পারি মরে যাব। আমি দেখাতে চেয়েছিলাম পুলিশ একনায়কতন্ত্রের দাসত্ব করছে। সেই দাসত্বকে ভেঙে ফেলার কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম হাতক়ড়া ছেড়ে চলে এসো। বলেছিলাম আরও জল ফেলো আমরা সব বয়ে চলে যাই।

তিনি বলেন, এখানে যে প্রশাসন চলছে প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, জাস্টিস দিতে না পারলে, প্রতিবাদ হবে, তুমি ভুল করছ, তুমি ঠিক করো নিজেকে। কিন্তু কেউ যদি সংশোধন না করতে চায় তবে আরও প্রতিবাদ হবে।

বলা হচ্ছে এটা ছাত্রদের নাম করে রাজনৈতিক আন্দোলন?

‘এটা ছাত্রদের তরফে কলটা এসেছিল। সাধারণ মানুষকে আসতে বলা হয়েছিল। রাজনৈতিক বিভাজন করে যেটা ওরা করছে সেটা হল ওরা আরজি করের দিক থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে। ’

‘দেখুন বিস্তারিত অর্থে রাজনীতি সর্বত্র। আপনারা যে রাজনীতির কথা বলছেন সেই রাজনীতির কথা বলছি না। …ওদের হাতজোড় করে বলছি আপনারা আলোচনায় বসুন। ’

‘আমি সনাতনী। আমি শিবভক্ত। সনাতনী হওয়া যদি অপরাধ হয় তবে আমি অপরাধ করছি। আমাদের জাস্টিস চাই।’