Kolkata Minor Sexual Harassment: তিলোত্তমায় এবার যৌন নির্যাতনের শিকার নাবালিকা, অভিযুক্তকে ধরেও ছেড়ে দিল পুলিশ!

আরজি কর কাণ্ডের জেরে এখনও উত্তাল এই শহর। আর এরই মাঝে ফের উতিলোত্তমার বুকে ঘটল নৃশংস ঘটনা। অভিযোগ, হরিদেবপুরে দশ বছরের নাবালিকাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করে এক ব্যক্তি। এদিকে সেই ঘটনায় প্রথমে অভিযুক্তকে নাকি ধরেছিল পুলিশ। তবে পরে সেই অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এর জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্তর বাড়িতে হামলা চালান স্থানীয়রা। এদিকে নির্যাতিতা সেই নাবালিকাকে নাকি হোমে পাঠানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: যেমন কথা, তেমন কাজ, আরজি কর কাণ্ডের আবহে ৩ সেপ্টেম্বরই বড় পদক্ষেপের পথে মমতা)

আরও পড়ুন: মমতার ‘ধর্ষণ বিরোধী’ বিলের বিরোধিতায় শুভেন্দু? ‘পরামর্শ’ বিধনসভা অভিযানের

আরও পড়ুন: ‘যদি চালাতে না পারেন আমি নিয়ে নেব…’, নবান্নের বৈঠকে মমতার ‘ধমক’ মন্ত্রীকে

রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সোমবার জন্মাষ্টমীর দিন ঘটনাটি ঘটেছিল। সেদিন নাকি নির্যাতিতা নাবালিকাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছে অভিযুক্ত। সেই নাবালিকাকে ‘ঠাকুর দেখাবেন’ বলে কথা দিয়েছিল অভিযুক্ত। সেই মতো বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সেই নাবালিকার সঙ্গে নাকি ‘কুকর্ম’ করে সেই ব্যক্তি। পরে বাড়ি ফিরে ঘটনার কথা জানায় নাবালিকা। হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের লোকজন। এই আবহে বুধবার সকালে হরিদেবপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তকে ধরে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ‘সাহস কী করে হল দিদি?’, মমতার ‘আগুন’ হুঁশিয়ারির জবাবে চাঁচাছোলা যোগী-বীরেনরা

তবে টিভি৯ বাংলার রিপোর্টে অভিযোগ, বুধবার বিকেলেই নাকি অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া হয় থানা থেকে। এরপরই স্থানীয়রা চটে যান পুলিশের ওপরে। এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তখন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান ওঠে স্থানীয়দের তরফ থেকে। বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। এদিকে নির্যাতিতা নাবালিকাকে নাকি এই আবহে পাঠানো হয় হোমে।

আরও পড়ুন: বিতর্কের আবহে নয়া নিয়ম UPSC পরীক্ষায়, জানুন রেজিস্ট্রেশনে এল কোন বদল…

উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সি এক তরুণী চিকিৎককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হাই কোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের কর্মকাণ্ডের যুক্তি দিতে গিয়ে ‘খাবি খেতে’ হয়েছে পুলিশকে। এমনকী আরজি করে গত ১৪ অগস্ট রাতে হামলার ঘটনাতেও পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নচিহ্নের মুখে।সেই পুলিশই আবার ডার্বি বাতিলের পর তিন প্রধানের সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছিল ‘বিচারের’ স্লোগন তোলায়। এই আবহে এবার নতুন করে হরিদেবপুর কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে।