সায়ন, শুভঙ্করের পর গ্রেফতার নবান্ন অভিযানের তৃতীয় আহ্বায়ক প্রবীর

আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন ২ জন। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষে নবান্ন অভিযানের তৃতীয় আহ্বায়ককেও গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে প্রবীর দাস নামে ওই যুককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে নবান্ন অভিযানের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ি ও শুভঙ্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন – ‘মুখোশ খসে পড়েছে, রাজ্যের মানুষ বুঝে গেছে, অপরাধজগতের মুখ হচ্ছে মমতা’

পড়তে থাকুন – ‘তৃণমূল নেতারা ফোঁস করলেই বাংলার মানুষ তেড়ে মেরে ডান্ডা, করে দেবে ঠান্ডা’

 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নবান্ন অভিযানে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে প্রবীর দাসের বিরুদ্ধে। সেজন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিনা অনুমতিতে কর্মসূচির আয়োজনের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বুধবার কলকাতার একটি গেস্ট হাউজ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেন পুলিশ আধিকারিকরা।

প্রবীরের গ্রেফতারি নিয়ে আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘গ্রেফতার করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বন্ধ করা যায় না। এদের কর্মসূচির পিছনে কোনও কোনও উদ্দেশ ছিল কি না সেটা জারা করে জানা যেতে পারে। কিন্তু গ্রেফতার কার যায় না।’

আরও পড়ুন – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করুন, কামদুনি মামলার কী হয়েছে? সেখানে তো সিবিআই নেই

নবান্ন অভিযান শেষ হতেই মঙ্গলবার রাতে সায়ন লাহিড়ীকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। সায়নের গ্রেফতারি নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বুধবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘গতকাল রাতে টিভি চ্যানেলে গেছিল সায়ন। বাইরে অপেক্ষা করছিল বিনীত গোয়েল এর ডগ স্কোয়াড। রাস্তা থেকে সায়ন লাহিড়ীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। সায়ন অত্যন্ত প্রতিভাবান MBA ছাত্র। তার নামে কোনো অভিযোগ মামলা কিছুই নেই । কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী নয়।গতকালের সফল নবান্ন অভিযান । যা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বা হাইকোর্টে গিয়ে আটকানো গেলো না। সাড়ে বারো হাজার পুলিশ দিয়ে রোখা গেলো না। সব পরিবহন ব্যবস্থা স্তব্ধ। তারপরও মানুষ এসেছে । আমি যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সায়নরা পরে বারণ করে যেতে পাশে থাকতে বলে। দু’ লক্ষ জলের পাউচ বিলি করেছি কাল। সায়নকে আজ তিনটি মামলায় দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বিনীত বাবুদের তরফে। কোথাও দেখাতে পারবেন সায়ন ব্যারিকেড উপড়ে পুলিশকে মেরেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধ্বংস হবে এই মায়েদের চোখের জলে।’