আয়াকে আটকে রেখে পাণিহাটিতে যৌন নির্যাতন, ধরা পড়লেন বিজেপি নেতা, কটাক্ষ তৃণমূলের

আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে বিজেপি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তুমুল আক্রমণ করছে। এমনকী বনধ পর্যন্ত ডেকেছিল। এই আবহে এক সেবাকর্মীকে (‌আয়া)‌ যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। পানিহাটির বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় গণধোলাই খেলেন তিনি। বাড়িতে এক আয়াকে আটকে রেখে তাঁর উপর যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেফতার করেছে অভিযুক্তকে। অভিযুক্ত বিজেপি নেতার নাম স্পন্দন দাস। তিনি পানিহাটির ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। স্পন্দন ১০৯ নম্বর বুথের বিজেপির সভাপতি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নির্বাচনী এজেন্টও হয়েছিলেন।

এদিকে বিজেপি ওই নেতাকে ধরে গণধোলাই দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। তখন এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঘোলা থানার পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাড়িতে আয়ার কাজ করার জন্য ওই মহিলাকে নিয়ে আসে ওই বিজেপি নেতা। আর বাড়িতে নিয়ে এসে তারপর সারারাত ধরে যৌন নির্যাতন চলে বলে অভিযোগ। ভোরবেলা মেয়েটি কোনওরকমে বাড়ি থেকে পালিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের বিজেপি নেতার কুকীর্তির কথা জানিয়ে দেন। তারপর এলাকার বাসিন্দারা হাতেনাতে ধরে ফেলে ওই বিজেপি নেতাকে। টালিগঞ্জের মহিলাকে আয়ার কাজের জন্য বাড়িতে নিয়ে এসে বিজেপি নেতা যৌনতায় লিপ্ত হয় বিজেপি নেতা বলে অভিযোগ। তা সামনে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন:‌ সন্দীপ ঘোষের কেবিনে কেক কাটছে সঞ্জয়!‌ ভুয়ো খবরের জবাব দিয়ে সত্য ফাঁস করল তৃণমূল

অন্যদিকে বাড়ি থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করা হয় বিজেপি নেতা স্পন্দন দাসকে। পালানোর চেষ্টা করেও ধরা পড়ে যান বিজেপি নেতা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। পুলিশের সামনেই রাস্তায় ফেলে ব্যাপক গণপিটুনি করা হয় তাঁকে। এই ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‌বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির বাইরে কি অভিযান হবে? নারীসুরক্ষা নিয়ে কথা বলার কোনও নৈতিক অধিকার বিজেপির নেই।’‌

এছাড়া এই ঘটনা নিয়ে এখন তৃণমূল কংগ্রেস পাণিহাটিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে এই নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। অথচ আজকে কলকাতায় ধরনা মঞ্চ বেঁধে বসে পড়েছেন বিজেপি নেতারা। সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ সকলেই আছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও এই বিষয়ে কিছু বলতে শোনা যায়নি। গতকাল মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‌বিজেপি নেতারা কোনওদিন ধর্ষণ বিরোধী কঠোর সাজার আইন আনবে না। কারণ সেটা আনলে সবার আগে ধরা পড়বে বিজেপির লোকজনই।’‌ আজ বিজেপির নেতাই ধরা পড়ে গেলেন।