সন্দীপের দশা হল অরুণাভর, কাজে যোগদান করতে গিয়ে পড়লেন তুমুল বিক্ষোভের মুখে

কাজে যোগদান করতে গিয়ে পড়ুয়া ডাক্তারদের তুমুল বিক্ষোভে আরজি কর মেডিক্যালের বক্ষরোগ বিভাগের অপসৃত প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের নির্দেশে মালদা মেডিক্যাল কলেজে কাজে যোগদান করতে যান তিনি। তিনি সেখানে পৌঁছতেই তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, নির্দোষ সাব্যস্ত না – হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগদান করতে দেওয়া হবে না তাঁকে।

আরও পড়ুন – ‘মুখোশ খসে পড়েছে, রাজ্যের মানুষ বুঝে গেছে, অপরাধজগতের মুখ হচ্ছে মমতা’

পড়তে থাকুন – ‘তৃণমূল নেতারা ফোঁস করলেই বাংলার মানুষ তেড়ে মেরে ডান্ডা, করে দেবে ঠান্ডা’

 

ছাত্র আন্দোলনের জেরে আরজি কর মেডিক্যালের বক্ষরোগ বিভাগের প্রধানকে সরাতে বাধ্য হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আরজি কর মেডিক্যাল থেকে তাঁকে মালদা মেডিক্যালে বদলি করা হয়। আর সেই খবর পেয়েই মালদা মেডিক্যালের পড়ুয়ারা জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনও ভাবেই অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে কাজে যোগদান করতে দেবেন না তাঁরা। বৃহস্পতিবার অরুণাভবাবু মালদা মেডিক্যালে পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তাঁকে ঘেরাও করে চলে বিক্ষোভ। ওঠে উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতয়ালি থানার পুলিশ। কিন্তু বসে বসে দেখা ছাড়া গোটা ঘটনায় তেমন কোনও ভূমিকা ছিল না তাঁদের। আন্দোলনকারীদের একটাই দাবি, উনি বিভাগীয় প্রধান থাকাকালীন আরজি কর মেডিক্যালে PGT ট্রেনি মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন হয়েছেন। এই ঘটনার প্রাথমিক দায় ওনার। যতক্ষণ না উনি নির্দোষ প্রমাণিত হচ্ছেন ততক্ষণ ওনাকে কাজে যোগদান করতে দেওয়া হবে না। ওনার উপস্থিতিতে হাসপাতাল চত্বরে চিকিৎসকরা সুরক্ষিত বোধ করছেন না।

আরও পড়ুন – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করুন, কামদুনি মামলার কী হয়েছে? সেখানে তো সিবিআই নেই

মালদা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতীম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলব। তাদের দাবি দাওয়া বোঝার চেষ্টা করব।’