Reform in Bangladesh: সংস্কারের রোডম্যাপ তৈরিতে বৈঠকে ইউনুস, ‘ইসলাম বিরোধী কিছু করবেন না’

আরিফুল ইসলাম মিঠু

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শীঘ্রই একটি প্রস্তাবিত সংস্কারের খসড়া প্রকাশ করবে। কতদিন এই কেয়ারটেকার সরকার চলবে তা নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে প্রস্তাব চাইছেন তাঁরা। 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শীর্ষে রয়েছেন মহম্মদ ইউনুস। এই প্রস্তাবিত সংস্কার সংক্রান্ত ব্যাপারে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁর বিশেষ সহকারি মেহফুজ আলম সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।

এই আলোচনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে প্রস্তাব চান ইউনুস। আলম জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন চলবে সেটা নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলি কী প্রস্তাব দেয় তার উপর। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলই সরকারের মেয়াদ নিয়ে কোনও প্রশ্ন করেনি। 

বাংলাদেশে খেলাফত মজলিশ ও ৬টি আলাদা ইসলামিক পার্টি প্রস্তাব দিয়েছে যে সংবিধানটা এভাবেই সংস্কার করা হোক যাতে কোনও ব্যক্তি দুটি টার্মের বেশি যেন তিনি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে না থাকতে পারেন। 

যে সমস্ত ইস্যুগুলি নিয়ে ওই আলোচনা হয় তার মধ্যে অন্যতম হল ইউনুস ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে মতামত নেওয়া। আগামী দিনে কবে ভোট হবে তানিয়ে মতামত নেওয়া। নিজাম-ই-ইসলাম, হাফেজাত ই ইসলাম ইসলামি আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন জামিয়াত উলামা ই ইসলাম ইউনুসের সঙ্গে মিটিং করেছিলেন। 

একাধিক রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকেও রাজনৈতিক সংস্কারের ব্যাপারে দাবি তোলা হয়েছে। মূলত আগামী দিনে বাংলাদেশ কীভাবে চলবে তা নিয়েই একটা রোড ম্যাপ তৈরির ব্যাপারে বলা হয়েছে। 

গত ৮ অগস্ট মহম্মদ ইউনুস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার চেয়ারে বসেছিলেন। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওযার তিনদিনের মাথায় ইউনুস বিদেশ থেকে ফিরে এসেছিলেন বাংলাদেশে। তার আগে দিনের পর দিন ধরে বাংলাদেশে চরম হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। প্রায় ৮০০ মানুষ মারা গিয়েছিলেন সেই হিংসার জেরে। 

মামুনুল হক , হেফাজত ই ইসলামের এক নেতা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,  ভোট করা বা রাজনৈতিক সংস্কার সম্পর্কিত ব্যাপারে আমরা বিশেষ কোনও সময়সীমা নিয়ে আলোচনা করিনি। 

ইসলামি আন্দোলনের বাংলাদেশের প্রধান সৈয়দ মহম্মদ রেজাউল করিম জানিয়েছেন, আমরা  হিন্দুদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। হিন্দুদের ও তাদের মন্দিরের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

সেই সঙ্গেই ইসলামী নেতারা দাবি করেছেন ইসলাম বিরোধী কোনও আইন প্রয়োগ করা যাবে না। শিক্ষা ব্যবস্থায় তথাকথিত ইসলামবিরোধী নীতি প্রয়োগ করা যাবে না। বাদ দিতে হবে।