এখনও পানিবন্দি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কয়েকটি গ্রাম, দুর্ভোগ চরমে

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী উপজেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা। সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত এই উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের মন্দভাগ বাজার এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম এখনও পানিতে তলিয়ে আছে। এসব গ্রামের অন্তত ৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থায় সরকারি বেসরকারিভাবে ত্রাণ পৌঁছালেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।

স্থানীয় প্রশাসন ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের বাসিন্দারা জানান, গত ২১ আগস্ট বুধবার ভারতের সীমান্তবর্তী দুটি উপজেলা কসবা-আখাউড়া উপজেলার ৭৩টি গ্রাম ভারতীয় পানির প্রবল স্রোতে তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কসবা ও আখাউড়া দুই উপজেলার অন্তত ৪ হাজার পরিবার। পরে গত ২৫ আগস্ট বন্যার পানি নেমে যায়। তবে এখনও পানিবন্দি অবস্থায় আছেন কাইমপুর ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী গ্রাম মন্দভাগ ও কোনাঘাট এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ আশপাশ গ্রামের অন্তত তিন শতাধিক পরিবার।

মন্দভাগ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য মো. আবু কালাম জানান, আমাদের এলাকা নিচু। ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। সব কিছু তলিয়ে গেছে। আমরা পানিবন্ধি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমরা নিচু এলাকাগুলোতে মাটি ফেলে ভরাট করার জন্যে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

একই এলাকার আরেক বাসিন্দা হাবিবা আক্তার জানান, সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ পৌঁছালেও তা পর্যাপ্ত নয়। আমরা অনেক কষ্টে আছি। ঘরে এখনও হাঁটু পানি। আমাদের ব্যাপারে নজর দেওয়ার জন্যে সরকারের উচ্চপর্যায়ে সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

এই এলাকারই এক আশ্রয়ণ প্রকল্পে পরিবার নিয়ে থাকেন জয়নাল মিয়া। তিনিও একইরকম দাবি জানান।

এদিকে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহারিয়ার মুক্তার জানান, পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় পানি বেড়ে যাওয়ায়, নিচু এলাকার ঘরগুলো নতুন করে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বিষয়টি তারা অবগত। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও জানান তিনি।

বন্যায় কসবা উপজেলায় ২৬টি গ্রামের আড়াইহাজার পরিবারের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।