Exam paper leak: ছেলে-মেয়েকে দিয়েছিলেন SI নিয়োগের প্রশ্নপত্র, ধৃত রাজস্থান PSC-র প্রাক্তন সদস্য

রাজস্থানে সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠল রাজস্থান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আরও এক প্রাক্তন সদস্যের বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে রাজস্থান পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ রবিবার ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম রামু রাম রাইকা। অভিযোগ, তিনি নিজের ছেলে ও মেয়েকে সাব ইন্সপেক্টর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দিয়েছিলেন। ঘটনায় রামুর মেয়ে শোভা রাইকা, ছেলে দেবেশ রাইকাকেও গ্রেফতার করেছে এসওজি। পাশাপাশি মঞ্জু দেবী, অবিনাশ পালসানিয়া এবং বিজেন্দ্র কুমার নামে আরও তিনজন পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, তারা সকলেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর এসআই হিসেবে প্রশিক্ষণরত রয়েছেন।

আরও পড়ুন: ফর্ম ফিলাপ করেননি যুবক, ফুড S.I-এর মেধা তালিকায় নাম দেখেই হতবাক! থানায় অভিযোগ

২০২১ সালে এই সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল। এসওজির এডিজিপি ভি কে সিং বলেছেন, শনিবার রামু রাম রাইকার সন্তানদের রাজস্থান পুলিশ ট্রেনিং একাডেমি থেকে এবং আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের সময় জানা গিয়েছে,  রামু রাজস্থান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন সদস্য। পরীক্ষার অনেক আগে কিছু উৎস থেকে তিনি প্রশ্নপত্র পেয়েছিলেন এবং সন্তানদের তা সরবরাহ করেছিলেন। এর জন্য প্রশ্ন প্রদানকারীর কাছে বেশ কিছু অর্থ দিয়েছিলেন রামু। তার তথ্য প্রমাণ পাওয়ার পরেই তাকে গ্রেফতার করে এসওজি।

আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাইকা ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৪ বছরের জন্য রাজস্থান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ছিলেন। সেই সময় রাজস্থান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ছিলেন বাবু লাল কাটারা নামে এক ব্যক্তি। প্রশ্নপত্র ফাঁসে অভিযোগে এর আগে তাকে গ্রেফতার করেছিল এসওজি। ২০২২ সালের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।

জানা যায়, সাব ইন্সপেক্টর পরীক্ষায় রাইকার মেয়ে পঞ্চম এবং দেবেশ ৪০ তম স্থান পেয়েছিলেন। তবে এর আগে দু’জনেই বেশ পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। আরও জানা গিয়েছে, বাবু লাল তাদের ইন্টারভিউ প্যানেলের সদস্য ছিলেন।

রাইকার সন্তানদের সঙ্গে আরও তিনজন প্রার্থী এসআই পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান অর্জন করেছিল। তাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।একজন আধিকারিক বলেন, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই ওই পরীক্ষার্থীদের পুনরায় একই প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে বলা হয়।  কিন্তু, তাতে ভয়ঙ্করভাবে খারাপ ফলাফল করেছিল তারা। চলতি বছরের মার্চ মাসে মামলাটি সামনে আসার পর থেকে এ পর্যন্ত  এসওজি ২০২১ ব্যাচের ৪৫ জন প্রশিক্ষণরত এসআইকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও, আরও ২০ জনের উপর সন্দেহ রয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।