Bizarre: জিলিপি খাওয়ালে তবেই দাখিল হবে রিপোর্ট, পুলিশের অদ্ভুত দাবিতে হতচকিত যুবক

হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনের জন্য অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়েছিলেন চঞ্চল কুমার। জিলিপি না খাওয়ালে রিপোর্ট নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় পুলিশ। একজন পুলিশ অফিসার হয়ে তাঁর এমন দাবি, হতবাক করেছিল চঞ্চলকে। ফোন হারিয়ে মন খারাপ করে থাকা চঞ্চল আর অন্য কোনও উপায় না দেখে, জিলিপি কিনতে ছুটেছিলেন।

আরও পড়ুন: (Mumbai preschool application form: বাচ্চার জন্ম কীভাবে হয়েছে? মুম্বইয়ের প্রি স্কুলের আবেদনপত্র দেখে অবাক সকলে)

এমনই ঘটনাটি ঘটেছে লখনউ থেকে প্রায় ৯১ কিলোমিটার দূরে কানৌর গ্রামে, উত্তরপ্রদেশের হাপুরের পুলিশ স্টেশনে। শনিবার সন্ধ্যায় চঞ্চল ওষুধ কিনতে বের হয়েছিলেন। তখনই তিনি নিজের মোবাইল ফোনটি হারিয়ে ফেলেন। সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। এরপরেই বাধ্য হয়ে পুলিশ স্টেশনে যান তিনি। এরপর, থানায়, তাঁর অভিযোগ শোনার পর, পুলিশ তাঁকে নিজেদের জন্য বালুশাহী অর্থাৎ উত্তর-ভারতের জনপ্রিয় মিষ্টি বা গরম জিলিপি কিনে আনতে বলে।

আরও পড়ুন: (LGBTQ people can open joint account: এবার ব্যাঙ্কে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন সমকামীরাও, নমিনি হতে পারে পার্টনার)

এরপর চঞ্চল কুমার যখন বুঝতে পারলেন যে পুলিশ অফিসার জিলিপি ছাড়া কোনোভাবেই সাহায্য করবেন না, তখন তিনি বাধ্য হয়ে একটি দোকান থেকে জিলিপি কিনে আনেন। পুলিশের কর্মকর্তাকে মিষ্টি খাওয়ানোর পরক অবশেষে চঞ্চলের অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয় বলে জানা গিয়েছে। আসলে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার, নিজেদের পাওয়ার দেখিয়ে পুলিশ অফিসারদের একাংশ সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলেছেন।

আরও পড়ুন: (Food problem of Namibia: খাবার নেই, হাতি, জলহস্তী মেরে জনগণের মধ্যে মাংস বিলি করবে নামিবিয়া)

যেমন, এই মাসের শুরুতে, ইউপির কনৌজে একজন সাব-ইন্সপেক্টর ঘুষ হিসাবে আলু চেয়েছিলেন। এর জন্য বরখাস্ত করা হয়েছিল তাঁকে। তদন্তে জানা গিয়েছিল যে আলু নাকি।ঘুষের একটি কোড ওয়ার্ড। একটি মামলা বন্ধ করার জন্য ঘুষ চাওয়া অফিসার রাম কৃপাল সিংয়ের একটি অডিয়ো রেকর্ডিং সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

এরই কয়েকদিন পর উত্তরপ্রদেশে ঘুষ হিসেবে কুলার দাবি করায় আরও একজন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। কাটঘরার শঙ্কর গ্রামের এক ব্যক্তি, তাঁর স্ত্রীয়ের কাছ থেকে একটি কুলার এবং ৬,০০০ টাকা চাওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন মাউ জেলার পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তি আরও অভিযোগ করেছিলেন যে অফিসার ফোনে তাঁর স্ত্রীকে গালিগালাজও করেছিলেন।