মোরসালিনের গোলে ভুটানকে হারালো বাংলাদেশ

প্রায় তিন মাসের বিরতি। তার ওপর ছিল থিম্পুর উচ্চতা সমস্যা। সব মিলিয়ে ভুটানের বিপক্ষে প্রথম ফিফা প্রীতি ম্যাচ কঠিনই ছিল বাংলাদেশের জন্য। তারপরও সব প্রতিকূলতা ছাপিয়ে কঠিন এক ম্যাচ জিতেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। প্রথমার্ধে শেখ মোরসালিনের লক্ষ্যভেদে বাংলাদেশ ১-০ গোলে ভুটানকে হারিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচে শুরুর একাদশে জায়গা হয়নি অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার। তার বদলে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ।

থিম্পুতে জামালের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন চোট কাটিয়ে ফেরা মোহাম্মদ সোহেল রানা। সোহেলের সঙ্গে চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরেছেন আরেক ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিমও। এছাড়া ফিরেছেন ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। ৪-৪-২ ছকে খেললেও হাভিয়ের কাবরেরার দলের খেলাতে ছিল না সেই দাপট। অনেকটা রয়ে সয়ে খেলেছে। প্রতি-আক্রমণনির্ভর বললেও ভুল হবে না। বরং স্বাগতিক ভুটান আক্রমণে কিছুটা এগিয়ে ছিল। তবে তাদের যোগ্য নম্বর নাইন না থাকায় গোলকিপার মিতুল মারমার পরীক্ষা সেভাবে নিতে  পারেনি। উল্টো শুরুর ৫ মিনিটেই বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। ডান প্রান্ত থেকে রাকিব হোসেনের ক্রস গোলকিপার পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। সামনে থাকা মোরসালিনের পায়ে লেগে বল আবারও গোলকিপারের শরীরে লেগে পোস্টের দিকে ছুটতে থাকে। সুযোগ পেয়ে দ্রুত ডান পায়ের টোকায় বাকি কাজটুকু সারেন মোরসালিন।

এক গোলে পিছিয়ে থেকে ১৯ মিনিটে ভুটান সুযোগ পায়। সতীর্থের থ্রু থেকে অধিনায়ক নিমা ওয়াংদি বক্সের ভেতরে বল পেয়ে শট নিলেও আগুয়ান গোলকিপার মিতুল শরীর দিয়ে তা রুখে দেন। পরের মিনিটে কর্নার থেকে  ইয়েশিয়ে গেইলশেনের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে।

শেষ দিকে এসে রাকিব হোসেন মাঠে পড়ে গেলে বাংলাদেশকে ধাক্কা খেতে হয়েছে। উচ্চতা সমস্যার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছিল কিনা বোঝা যাচ্ছিল না। পরে জানা যায়, পায়ে চোট পেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি স্ট্রেচার বয়ে আনা এক কর্মীও মাঠে এসে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। অ্যাম্বুলেন্স আনা হয় তারপর। শেষ পর্যন্ত রাকিব মাঠের বাইরে চলে যান। তার বদলে নামেন শাহরিয়ার ইমন।

দ্বিতীয়ার্ধেও খেলায় প্রত্যাশিত গতি ছিল না। ৬১ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে তুলে অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের রাব্বী হোসেন রাহুলকে নামান কাবরেরা। তারপরও দুই দল আক্রমণ প্রতি-আক্রমণনির্ভর খেলার চেষ্টা করেছে। কেউ গোল পায়নি যদিও। পারেনি মনমাতানো ম্যাচ উপহার দিতে।

৭৪ মিনিটে হৃদয়ের বদলি নামেন জামাল। এরপরই ভুটান আক্রমণ শানায়। তবে সতীর্থের ক্রসে দূরের পোস্টে থাকা বিকাশ প্রধান ছুটে গিয়ে বলে পা চালালেও নাগাল পাননি। দশ মিনিট পর সতীর্থের ফ্রি-কিকে একইভাবে পায়ের সঙ্গে বলের সংযোগ ঘটাতে পারেননি পেমা ধেনদুপ। তাদের বড় তারকা চেনচো গেইলসেন না থাকার অভাবটা অনুভূত হয়েছে।

৮৭ মিনিটে বাংলাদেশ ব্যবধান বাড়াতে পারতো। কিন্তু মোরসালিনের ক্রসে শাহরিয়ার ইমনের প্লেসিং বারের পাশ দিয়ে গেলে হতাশ হতে হয়েছে তাদের। ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পরের ম্যাচটি খেলবে ভুটানের বিপক্ষে।