কম বাজেটে ২-৩ দিনের জন্য পুজোর ছুটিতে বেড়াতে যেতে চান? ভিড় এড়াতে ঘুরে আসুন অফবিট পুরুলিয়া

দুর্গাপুজোর সময় শহরের কোলাহল কাটিয়ে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে পাহাড় বা সমুদ্র বাদ দিন। এখন হয়তো ইতিমধ্যেই সব টিকিট বা হোটেল বুকিংও ফুল হয়ে গিয়েছে। ঝামেলা ঝঞ্ঝাট এড়াতে ফাঁকায় ফাঁকায় ঘুরে আসুন অহল্যাভূমি থেকে। অর্থাৎ পুরুলিয়া, তবে অফবিট। জেনে নিন কী কী দেখবেন, কোথায় থাকবেন, কীভাবে যাবেন।

আরও পড়ুন: ‘পরম্পরা প্রতিষ্ঠা অনুশাসন’, কৌন বনেগা ক্রোড়পতিতে মনুর মুখে মহব্বতের আইকনিক সংলাপ! স্তম্ভিত অমিতাভ বললেন কী?

কী কী দেখবেন অফবিট পুরুলিয়ায়?

পুরুলিয়ায় এমন একাধিক ঝর্না আছে যেগুলোর কথা আমজনতা অনেকেই জানেন না। এমনকি স্থানীয়রাও অনেক সময় সঠিক লোকেশন বলতে পারেন না। আর ট্রাভেল কোম্পানির সঙ্গে গেলে তো এসব দেখার আশা ছেড়েই দিন। কিন্তু একবার যদি এই জায়গাগুলোয় গিয়ে পৌঁছন ফিরতে ইচ্ছে করবে না।

এই ক্ষেত্রে প্রথমেই বলা যা মাছকান্দা ফলসের কথা। অযোধ্যা হিল টপ থেকে একে দূর থেকে দেখা যায়। আবার ট্রেক করে একদম কাছ পর্যন্তও যাওয়া যায়। যাওয়ার পথে যে গহীন অরণ্য পড়বে তাতে গজ দেবের দেখা পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।

এছাড়া রয়েছে ঘাটকোচা ফলস। এটি তুর্গা ড্যাম থেকে দেখা যায় বটে। তবে একটু ট্রেক করে এর কাছে পৌঁছতে পারলে এর রূপ অপরূপ রূপে মুগ্ধ হতে বাধ্য। এখানে স্নানও করা যায়। পিটিদিরি ঝর্না যে গ্রামে অবস্থিত সেটার থেকে পাশের গ্রামের দূরত্ব গাড়িতে নয় নয় করেও ১৫-২০ মিনিট তো বটেই! আর এই ঝর্নার কাছে যেতে হলে স্থানীয়দের সাহায্য আবশ্যক। ছোট ঝর্না, অথচ এর রূপ মনোমুগ্ধকর। এটিও বেশ কিছুটা ট্রেক করে যাওয়া যায়। আর ন্যাচরাল পুল হওয়ার দরুন এখানে স্নান করাও যায়।

ছলছলি ফলসকে এই তালিকায় অবশ্যই রাখতে পারেন। এটিও এর নিকটবর্তী গ্রাম থেকে স্থানীয় কাউকে নিয়ে সঙ্গে গাইড বানিয়ে নিয়ে যেতে হয়। নইলে পথভ্রষ্ট হওয়া অবশ্যম্ভাবী। এছাড়াও বামনি ফলস, তুর্গা ফলস রয়েছে। সেগুলোও দেখতে পারেন।

দিনের শেষে ট্রিপের যে কোনও একদিন অবশ্যই চলে যান মুরুগুমা ড্যামে। আর সাক্ষী থাকুন অপরূপ সূর্যাস্তের। এর কাছের চেমটাবুরু পাহাড়ে ট্রেক করে ওঠা যায়। নইলে নিচ থেকেও সেই পাহাড়কে দেখতে মন্দ লাগে না। আরেকদিন চলে যান পাখি পাহাড় হয়ে পারডি ড্যাম।

আরও পড়ুন: রাত দখলের রাতে বর্বরতার শিকার ঋতুপর্ণা, কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল ৪ সেপ্টেম্বর রাতে, প্রকাশ্যে আনল ভাইরাল পোস্ট

আরও পড়ুন: মিমিকে দেখেই যাদবপুরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান! শ্যামবাজারে মাইক হাতে ‘We want justice’ দাবি তুললেন শোলাঙ্কি-তথাগতরা

কীভাবে যাবেন?

পুরুলিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে আমার পছন্দের অপশন চক্রধরপুর এক্সপ্রেস। এটি রাত ১২ টা ৫ মিনিটে হাওড়া নাগাদ ছাড়ে। তবে মনের ভুলেও পুরুলিয়ায় নামবেন না। নামবেন বরাভূম স্টেশনে। সেখান থেকে হোটেলের গাড়ি বলা থাকলে তাতে বা স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি করে চলে যান হোটেলে। এছাড়া ট্রেনের টিকিট না পেলেও ধর্মতলা থেকে রোজ সন্ধ্যায় বাস ছাড়া হয়। তাতেও যেতে পারেন।

কোথায় থাকবেন?

থাকার জন্য একাধিক অপশন রয়েছে। তবে যদি ব্যক্তিগত সাজেশন চান বলব হয় অযোধ্যা পাহাড়ের নিচে এমন কোথাও থাকুন যেখান থেকে ড্যাম স্পষ্ট দেখা যায়। কেন বললাম সেটা চাক্ষুষ করলেই বুঝতে পারবেন। এছাড়া যদি জঙ্গলের মধ্যে থাকতে চান মাঠা ফরেস্টের মধ্যে একাধিক রিসোর্ট পাবেন। এছাড়াও অযোধ্যা পাহাড়ের উপর, মুরুগুমা, ইত্যাদি ড্যামের কাছেও একাধিক হোটেল, রিসোর্ট আছে।

খরচ কেমন? এখানে খাবার সহ ঘর ভাড়া পাওয়া যায় যেমন, তেমনই ঘর আলাদা খাবার আলাদা পাওয়া যায়। যদি ৪ বেলার খাবার সহ ঘর নেন তাহলে কম বেশি ২.৫ থেকে ৩ হাজার প্রতি রাত প্রতি ব্যক্তির খরচ হবে। আর যদি ঘর আলাদা, খাবার আলাদা নেন সে ক্ষেত্রে ঘর ৮০০-১০০০ থেকে শুরু করে নিজের পছন্দ মতো রেঞ্জে পেয়ে যাবেন।