RG Kar-TMC MLA Update: ‘নিখোঁজ’ আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা TMC বিধায়ক সুদীপ্ত রায়?

আরজি কর হাসপাতালে গতকাল বিনা চিকিৎসায় এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিগত প্রায় এক মাস ধরে সেই হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে। সরকার এবং সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধেও সেই কর্মবিরতি এবং আন্দোলন থামছে না। এই সবের মাঝেই দেখা নেই আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের। রিপোর্ট অনুযায়ী, আরজি কর হাসপাতালের এত ঘটনার মাঝেও সুদীপ্তবাবুর দেখা না মেলায় চর্চা শুরু হয়েছে তাঁর দলের অন্দরেও। (আরও পড়ুন: আরজি কর সেমিনার রুম চত্বর ভাঙার ঘটনায় রহস্য ঘনীভূত, জড়িত জুনিয়ার ডাক্তাররাও?)

আরও পড়ুন: RG কর কাণ্ডে নয়া মোড়, ডিসি নর্থের নামে অভিযোগ উঠতেই নির্যাতিতার বাবার কাছে CBI

আদতে শ্রীরামপুরের বিধায়ক হলেও সুদীপ্ত রায় উত্তর কলকাতার সিঁথির মোড়ের বাসিন্দা। সেখানে তাঁর একটি নার্সিং হোমও রয়েছে। তবে দাবি করা হচ্ছে, সুদীপ্ত রায়কে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, গত বছরই আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে বসেছিলেন সুদীপ্ত রায়। তবে এই পদ নিয়ে বিস্তর টানাপোড়েন চলেছে। এর আগে ২০২৩ সালের প্রথম দিকে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে সুদীপ্তকে সরিয়ে সেখানে বসানো হয়েছিল তৃণমূলের চিকিৎসক-নেতা শান্তনু সেনকে। পরে অবশ্য অক্টোবরে ফের শান্তনুকে সেই পদ থেকে সরানো হয়। ফিরিয়ে আনা হয় সুদীপ্তকেই। (আরও পড়ুন: ধর্ষণ-খুনের সাথে যুক্ত নন সঞ্জয়, আরজি কর কাণ্ডে দাবি ধৃত সিভিকের আইনজীবীর)

আরও পড়ুন: ‘পুলিশের কোনও পরিবার যদি ডাক্তারদের সামনে…’, আরজি কর কাণ্ডের আবহে বিস্ফোরক কুণাল

উল্লেখ্য, গতবছর দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই সন্দীপ ঘোষকে আরজি কর থেকে মুর্শিদাবাদে সরানো হয়েছিল। সেটা সেপ্টেম্বর। পরে অবশ্য সন্দীপকে ফের আরজি করের অধ্যক্ষ পদেই বহাল রাখা হয়। যা নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল। এর পরপরই শান্তনুকে রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছিল। এদিকে আরজি করের সাম্প্রতিক ঘটনায় শান্তনু ‘পার্টি লাইন’ থেকে বাইরে এসে বেনজির ভাবে আক্রমণ শানিয়েছিলেন আরজি করের প্রশাসনিক পদে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। এই আবহে দলের কোপও পড়েছে তাঁর ওপরে। কিন্তু এত কিছুর মাঝে সুদীপ্তর দেখা মেলেনি। এদিকে সুদীপ্ত রায়ের এই ‘নিরুদ্দেশ’ হওয়া নিয়ে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘সুদীপ্ত রায় সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত লোক। এক সময় শ্রদ্ধা করতাম। আরজি করের মেশিন নিজের নার্সিং হোমে লাগিয়েছেন। পুরোনো মেশিন আরজি করে চালান দিয়েছেন।’