কমলা ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন: প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে ট্রাম্প

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাট মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ফিলাডেলফিয়ায় হ্যারিসের সঙ্গে প্রথম প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে এমন মন্তব্য করেন তিনি। সাবেক এই প্রেসিডেন্টের দাবি, তিনি এখনও হোয়াইট হাউজে থাকলে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ কখনও শুরুই হতো না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এই খবর জানিয়েছে।

বিতর্কের সময় ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস চলতি বছরে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে জাতি হিসেবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব থাকবে না।

ট্রাম্পের বক্তব্যে, ‘তিনি ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। আমার বিশ্বাস, তিনি যদি প্রেসিডেন্ট হন, এখন থেকে ঠিক দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েলের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না।’

সাবেক এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, হ্যারিস ‘আরব জনসংখ্যাকে ঘৃণা করতেন’। এসময় রিপাবলিকান প্রার্থী দাবি করেন, তিনি হোয়াইট হাউজে থাকাকালীন মধ্যপ্রাচ্য তুলনামূলকভাবে শান্ত ছিলো।

ট্রাম্পের এমন দাবি অস্বীকার করেছেন হ্যারিস। বিতর্কে আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি বলেন, ট্রাম্প ‘বাস্তবতা থেকে দূরে রয়েছেন এবং বিভ্রান্ত করার’ চেষ্টা করছেন।

ডেমোক্র্যাট এই প্রার্থী জোর গলায় বলেন, ‘ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে।’ অবিলম্বে এই যুদ্ধের অবসান হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। একটি যুদ্ধবিরতির ওপর গুরত্বারোপ করে হ্যারিস বলেন, ‘আমাদের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা দরকার।’

এসময় প্রতিদ্বন্দীকে কটাক্ষ করে হ্যারিস বলেন, ‘সবাই খুব ভালো করেই জানেন যে, তিনি স্বৈরশাসকদের প্রশংসা করেন এবং নিজেও একজন স্বৈরশাসক হতে চান।’