‘এখনই প্রতিরোধ না হলে আরও অনেক তিলোত্তমাকে এভাবে চলে যেতে হতে পারে’

আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের হত্যায় অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করেছে সরকার। তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছে প্রশাসন। এই অভিযোগ তুলে রাজ্যের দেওয়া শিক্ষারত্ন পুরস্কার ফেরত দিলেন অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষক। শুক্রবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে পুরস্কার ফেরতের কথা ঘোষণা করেছেন হরিহরপাড়া হাজি আলম বক্স সিনিয়র মাদ্রাসার প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক গোলাম মুস্তাফা সরকার। পুরস্কারের স্মারক ও অর্থ ফেরত দিতে চেয়ে তিনি জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন – শৌচালয়ের দেখভালও করতে পারে না! পূর্ত দফতরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আদালত

পড়তে থাকুন – মালদায় কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হাতুড়ে ডাক্তার, ৯ দিনেই চার্জশিট দিল পুলিশ

 

গোলাম মোস্তাফা সরকার জানান, ‘২০১৬ সালে আমি শিক্ষারত্ন পেয়েছিলাম। পুরস্কার পেয়ে খুবই আনন্দিত হই। এবার পুরস্কার ফেরত দিয়ে আনন্দ পেতে চাই। যে ভাবে আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। তার পর যে ভাবে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে তার পর এই পুরস্কার বোঝা মনে হচ্ছে।’

আরও পড়ুন – ‘‌ইহা পে আরজি কর হো জায়েগা’‌, বেসরকারি হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে হুমকি

তিনি বলেন, শুধু হাসপাতালে নয়। সমস্ত প্রতিষ্ঠানে এই নৈরাজ্য চলছে। আগামী প্রজন্মের স্বার্থে এখনই এর প্রতিরোধ হওয়া দরকার। নইলে আগামীতে আরও তিলোত্তমাকে অকালে চলে যেতে হতে পারে।’