Hidden Camera in Ladies Toilet: মহিলা কর্মীদের শৌচালয়ে গোপন ক্যামেরা বসিয়েছিলেন চিকিৎসক! ধরা পড়লেন হাতেনাতে

নিজেদের কর্মস্থলেও মহিলারা যে কতটা অসুরক্ষিত, আবারও তার প্রমাণ পাওয়া গেল। এবারের ঘটনাস্থল রাজস্থান। সেখানকার একটি ফিজিয়োথেরাপি কেন্দ্রে গোপনে মহিলাদের অশ্লীল ভিডিয়ো রেকর্ড করার অভিযোগ উঠল ওই কেন্দ্রেরই দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে!

স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের তরফে ডিএসপি দিলীপ মিনা জানিয়েছেন, সীকর জেলার লক্ষ্মণগড় এলাকার ওই ফিজিয়োথেরাপি কেন্দ্রে একাধিক মহিলা কর্মী রয়েছেন। তাঁদেরই একজন পুলিশকে খবর দেন, কেন্দ্রের অন্দরের কোনও অনৈতিক ও বেআইনি কাজ চলছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধেবেলা আচমকাই অভিযান চালায় পুলিশ।

সেই অভিযানে মহিলাদের শৌচালয় থেকে থেকে একটি গোপন ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়। পরে ওই কেন্দ্রেরই দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. সুরেশ জাঙ্গির কেবিনেও তল্লাশি চালানো হয়। তাঁর ব্যাগ থেকে পাওয়া যায় আরও একটি গোপন ক্যামেরা। একইসঙ্গে, উদ্ধার করা হয় একটি পেনড্রাইভ। সেই পেনড্রাইভে মহিলাদের অশ্লীল ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে।

ঘটনা প্রসঙ্গে ডিএসপি জানান, অভিযুক্ত চিকিৎসকের কাছে একাধিক গোপন ক্যামেরা ছিল। তিনি রোজ সকালে ফিজিয়োথেরাপি কেন্দ্রে ঢোকার পর সকলের অলক্ষ্যে মহিলাদের শৌচালয়ে ঢুকে গোপন ক্যামেরা বদল করতেন! একদিন সকালে যে ক্যামেরা লাগাতেন, পরদিন সেটি খুলে নিয়ে, সেই জায়গায় অন্য আর একটি ক্য়ামেরা লাগিয়ে দিতেন!

এভাবেই মহিলাদের শৌচালয়ের ভিডিয়ো রেকর্ড করতেন ওই চিকিৎসক। তারপর সেই ভিডিয়ো নিজের পেনড্রাইভে ট্রান্সফার করে সেটি বাড়ি নিয়ে চলে যেতেন। এভাবেই দীর্ঘদিন কুকীর্তি চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু, সম্প্রতি ওই কেন্দ্রে কর্মরত এক মহিলার চিকিৎসকের আচরণ দেখে সন্দেহ হয়। তিনি পুলিশকে এই বিষয়ে অভিযোগ জানান। তারই ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অভিযান চালায় পুলিশ।

অভিযুক্ত ডা. সুরেশ জাঙ্গিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে লাগাতার জেরা করা হচ্ছে। ঠিক কত দিন ধরে তিনি এই ককর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন, তা ঠিকঠাকভাবে বোঝার চেষ্টা করছে পুলিশ। পাশাপাশি, সুরেশ একাই এসব করেছে, নাকি তার কোনও সঙ্গী রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাজেয়াপ্ত করা পেনড্রাইভে মহিলাদের যে ব্যক্তিগত ও অশ্লীল ভিডিয়োগুলি পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি সুরেশ অন্য কাউকে বা অন্য কোথাও সরবরাহ করেছে কিনা, তারও খোঁজ নিচ্ছেন তদন্তকারীরা।

এদিকে, এই ঘটনা সামনে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে। একজন চিকিৎসকের এহেন আচরণে মানুষ যেমন ক্ষুব্ধ, তেমনই হতবাক। তাঁরা ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দোষীর কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। পুলিশ সবদিক খতিয়ে দেখছে বলেই জানিয়েছেন ডিএসপি দিলীপ মিনা।

প্রসঙ্গত, কলকাতায় আর জি কর কাণ্ডের আবহে দেশজুড়ে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে সরব হয়েছে নানা মহল। সেই আবহে রাজস্থানের এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, কীভাবে প্রতিনিয়ত কিছু নরপিশাচের লালসার শিকার হতে হচ্ছে কর্মরত মহিলাদের।