World Lymphoma Day: কেন পালন করা হয় বিশ্ব লিম্ফোমা সচেতনতা দিবস? এই দিনটির গুরুত্ব কী

প্রতিবছর ১৫ সেপ্টেম্বর পালন করা হয় বিশ্ব লিম্ফোমা সচেতনতা দিবস।লিম্ফোমায় আক্রান্ত রোগীদের বিশেষভাবে যত্ন এবং এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এই দিনটি পালন করা হয় প্রতি বছর।

লিম্ফোমা কী? 

 

লিম্ফোমা হল রক্তের ক্যানসারের অন্য একটি রূপ। তবে লিম্ফোমা এবং লিউকেমিয়ার মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। লিম্ফোমা প্রাথমিকভাবে লিম্ফোসাইটকে প্রভাবিত করে যেটি ইমিউন সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। লিম্ফোসাইট সারা শরীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে এবং বিভিন্ন সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা করে শরীরকে। লিম্ফোমা যখন লিম্ফোসাইট গুলিকে আঘাত করে তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যায়।

লিম্ফোমা কয় প্রকার? 

 

লিম্ফোমা দুই প্রকার, হজকিন লিম্ফোমা এবং নন-হজকিন লিম্ফোমা।

(আরও পড়ুন: পুজোয় মাত্র ২ দিন ছুটি? মন খারাপ নয়, অল্প খরচে ঘুরে আসুন ঝাড়গ্রাম! জেনে নিন সব ডিটেলস)

সারা বিশ্বে লিম্ফোমার পরিসংখ্যান: 

 

বিশ্বব্যাপী প্রায় ১ মিলিয়ন মানুষ লিম্ফোমায় আক্রান্ত হয়েছে এখনও পর্যন্ত। শুধুমাত্র ভারতেই ২০২০ সালে ১১ হাজার ৩০০ জন রোগী হজকিন লিম্ফোমার মুখোমুখি হয়েছিলেন, ৪১ হাজার রোগী ননহজকিন লিম্ফোমার সঙ্গে লড়াই করেছেন। প্রতি ১ লাখ পুরুষের মধ্যে ২.৯ এবং মহিলাদের মধ্যে ১.৫ শতাংশ রোগী লিম্ফোমায় আক্রান্ত হন।

বিশ্ব লিম্ফোমা সচেতনতা দিবসের ইতিহাস: 

 

২০০৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সারা বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব লিম্ফোমা সচেতনতা দিবস। বিশ্বব্যাপী ৫২টি দেশে ৮৩টি গোষ্ঠীর সমন্বয়ে এই দিনটি উদযাপিত করা হয়। এই আন্তর্জাতিক জোটের মূল লক্ষ্য হল সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে লিম্ফোমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং লিম্ফোমা নির্ণয় এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটানো।

লিম্ফোমার লক্ষণ

 

এই রোগটির সাধারণ লক্ষণ গুলির মধ্যে রয়েছে ঘন ঘন জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বর্ধিত টনসিল, ক্লান্তি, খিদে কমে যাওয়া, রাতে অতিরিক্ত ঘাম, মাথা এবং ঘাড়ে ব্যথা, ওজন কমে যাওয়া, ঘাড় বা বগলে ফোলা ভাব, কোনও কারণ ছাড়াই চুলকানি, প্রস্রাবে বাধা।

(আরও পড়ুন: বোটানিক্যাল গার্ডেনের বটগাছ হারালো ‘সম্মান’? সেরার তকমা আর নেই, মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ)

লিম্ফোমা রোগ নির্ণয় : 

 

লিম্ফোমার লক্ষণ গুলির ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা করানো হয়। সিটি স্ক্যান, পিইটি স্ক্যান, এমআরআই, লিম্ফ নোড বায়োপসি, বোন ম্যারো বায়োপসি।

লিম্ফোমার চিকিৎসা: 

 

লিম্ফোমার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি, ইমিউনো থেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি, সিএআর টি সেল থেরাপি করানো হয় এবং প্রয়োজনীয় অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করতে পারেন চিকিৎসকরা।