Kejriwal Resigns from CM post: চলমান বিতর্কের মাঝেই পদত্যাগের ঘোষণা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর, কেজরিকে নিয়ে শুরু জোর চর্চা

অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে জামিন পেয়েছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনে বেশ কিছু বিধিনিষেধ এবং শর্ত আরোপ করা হয়েছিল তাঁর ওপরে। এই আবহে বিতর্কের মাঝেই পদত্যাগ করছেন তিনি। তাঁর কথায়, মানুষের রায়ে নির্বাচিত হন যদি, তবেই ফিরবেন। উল্লেখ্য, এর আগে গ্রেফতারির পরও মুখ্যমন্ত্রী পদ নিজের কাছেই রেখে দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। যা ভারতীয় রাজনীতিতে নজিরবিহীন। (আরও পড়ুন: ‘কান টানলে…’, আরজি কর ধর্ষণ-খুন মামলায় সন্দীপ গ্রেফতার হতেই বিস্ফোরক চিকিৎসকরা)

আরও পড়ুন: ‘লাইনে এরপর… তাই চন্দ্রিমাকে CM বলেন’, কালীঘাটের বৈঠক নিয়ে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ

আরও পড়ুন: ‘আমাকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল’, জল্পনা উস্কে বড় দাবি গডকরির

উল্লেখ্য, দু’দিন আগেই দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অবশেষে মুক্তি পান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এর আগে ইডির করা মামলায় কেজরিওয়াল জামিন পেতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে আজ শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে কেজরিওয়ালকে। তবে বেশ কয়েকটি শর্তে কেজরিকে। তিনি কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না বলে কেজরিওয়ালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে নিজের দফতরেও যেতে পারবেন না। এছাড়া, আগবারি মামলা সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, মাঝে লোকসভা নির্বাচনের সময় দলের হয়ে প্রচার করার জন্যে জামিন দেওয়া হয়েছিল কেজরিকে। পরে ফের তিহাড় জেলে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। (আরও পড়ুন: ‘CM বাইরে ভিজেছেন…’, ‘অতি বাম চিকিৎসকদের’ ওপর বিরক্ত সার্ভিস ডাক্তার ফোরাম)

আরও পড়ুন: নজরে পুলিশের ‘ভুল’, আরজি কর কাণ্ডে এক শীর্ষ কর্তাকে অনলাইনে জেরা CBI-এর: রিপোর্ট

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে কেজরিওয়ালের দিল্লি সরকার মদ বিক্রির নয়া নীতি কার্যকর করেছিল। তবে কয়েকদিন পরই সেই নীতি বাতিল করা হয়েছিল। এরই মাঝে অভিযোগ ওঠে, সেই নীতির অধীনে নির্দিষ্ট কিছু মদ ব্যবায়ীর থেকে ঘুষ নিয়ে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। মদ বেচার লাইসেন্সের জন্য ডিলাররা ১০০ কোটি টাকার ঘুষ দিয়েছিল আম আদমি পার্টিকে। এদিকে এই গোটা ঘটনায় তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে কে কবিতার সরাসরি যোগ ছিল বলে দাবি। ইডি অভিযোগ করেছে, কবিতার মদতে দক্ষিণ ভারতে অনেক সংস্থা আপ-কে ঘুষ দিয়ে দিল্লিতে মদ বিক্রির লাইসেন্স পেয়েছিল। আর এই গোটা লেনদেনের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বর্তমান রাজসাক্ষী রেড্ডি। এই আবহে দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় আম আদমি পার্টিকে ‘কোম্পানি’ আখ্যা দিয়েছিল ইডি। শুধু তাই নয়, দাবি করা হয়েছিল, এই গোটা দুর্নীতির মাথা নাকি অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই।