চাকরি ফেরত পেতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্যরা

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ শাসনামলে চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা চাকরি ফেরত পেতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী চাকরিচ্যুত ৩০০ জন সৈনিকের পক্ষে রবিবার (১৫ সেপ্টম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় তার প্রতিনিধির কাছে এ স্মারকলিপি জমা দেন চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্ল্যাটফর্ম ‘সহযোদ্ধা’।

এর আগে ১টার দিকে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর চাকরিচ্যুত দুই শতাধিক সৈনিক যমুনার সামনে মানববন্ধন করেন। তারা সেখানে বৃষ্টিতে ভিজে ২০ মিনিটের মতো অবস্থান করেন। পরে তিন দফা দাবি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন।

দাবিগুলো হলো– চাকরিচ্যুতির সময় থেকে এখন পর্যন্ত সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং বেতন-ভাতাসহ চাকরি পুনর্বহাল; যদি সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিতে পুনর্বহাল সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধাসহ সম্পূর্ণ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে; যে আইন কাঠামো ও একতরফা বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে শত শত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সেই আইন কাঠামোর সংস্কার করতে হবে।

‘সহযোদ্ধা’র প্রধান সমন্বয়ক সাবেক সেনা সদস্য নাইমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের প্রায় ৩০০ সদস্যকে বিগত সরকার অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করেছে। সেই কারণে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি অবগত আছেন এবং আমাদের তিনটি দাবি সুবিবেচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করবেন।

চাকরিচ্যুত সেনা সদস্য শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গত বছর (২০২৩ সালে) আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। অভিযোগ, আমার বাবা বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। আমি ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি।