জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরতেই দলের বহিষ্কৃত নেতাকে মালা পরিয়ে উৎসবে মাতলেন TMC কর্মীরা

সরকারি জমি দখল করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গ্রেফতারির সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বহিষ্কার করে দল। আদালত থেকে জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরতেই সেই বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতাকে ফুল মালায় স্বাগত জানালেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। ওদিকে গ্রেফতার হলেও দলের প্রতি এখনও আস্থা কমেনি দেবাশিসের। দল তাঁকে ফিরিয়ে নেবে বলে আশাবাদী তিনি।

আরও পড়ুন – অষ্টমের বইয়ে হিন্দু ইতিহাসকে বিকৃত, বাংলাদেশের মতো মগজধোলাই বাংলায়, দাবি BJP-র

পড়তে থাকুন – জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নয়, চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্যু,ক্ষতিপূরণ ফেরাল পরিবার

 

লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর রাজ্য সরকারি জমি পুনরুদ্ধেরের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে যারা এই কাজে যুক্ত তাদের গ্রেফতারির নির্দেশ দেন তিনি। নির্দেশ পেয়ে ময়দানে নেমে প্রথমে ডাবগ্রাম – ফুলবাড়ি ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ২৬ জুন গ্রেফতার হন দেবাশিসবাবু। ৩ জুলাই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। পুলিশ হেফাজত শেষে তাঁর ঠাঁই হয় জেল হেফাজতে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর জামিন পান দেবাশিসবাবু। কিন্তু আদালত তাঁর নিজের জেলায় ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ১৩ সেপ্টেম্বর সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় হাইকোর্ট। এর পর এলাকায় প্রবেশ করতেই ফুল মালায় দেবাশিসবাবুকে স্বাগত জানান তাঁর অনুগামীরা। যাদের প্রায় সবাই এলাকায় তৃণমূলকর্মী বলে পরিচিত। প্রশ্ন উঠছে, দলের বহিষ্কৃত একজন নেতাকে ফুল মালায় স্বাগত জানানোয় দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ করবে তৃণমূল?

এই নিয়ে শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূলে আবার বহিষ্কার! আজ পর্যন্ত বহিষ্কারের কেউ কোনও চিঠি পেয়েছে? তৃণমূল নেতৃত্ব জানে এই দুর্নীতিগ্রস্তরাই তাদের ভরসা। আর দুর্নীতিগ্রস্তরাও জানে তৃণমূল ছাড়া রাজ্যের অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে তাদের ঠাঁই নেই।’

আরও পড়ুন – ‘যারা মৃতদেহের পর্নোগ্রাফি বানায় তাদেরই রোগীকল্যাণ সমিতিতে রাখবেন মমতা’

ওদিকে দেবাশিসবাবু বলেন, ‘চোরেরাই আমাকে ফাঁসিয়েছিল। আমাকে শাস্তি দেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর তদন্ত করা উচিত ছিল। দলের এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুব দরকার। আশা করি দল আমাকে ফিরিয়ে নেবে।’