Jammu and Kashmir Assembly Election: ১ দশক পর জম্মু-কাশ্মীরে আজ নির্বাচন, ভোট ২৪ আসনে, ফোকাসে সেই ৩৭০ ধারা

আজ প্রায় ১ দশক পর ফের নির্বাচনের বাদ্যি বেজেছে জম্মু ও কাশ্মীরে। আজ সেখানকার ২৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। মোট তিন দফায় জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম বিধানসভা ভোট হচ্ছে সেখানে। এর আগে ২০১৪ সালে যখন জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল, তখন সেটি পূর্ণ রাজ্য ছিল। তবে এখন এটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। আজ প্রথম দফায় যে ২৪টি আসনের ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে জম্মুতে আটটি এবং কাশ্মীরে ১৬ আসন রয়েছে। প্রথম দফায় ২১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ২৩ লাখ ভোটার। তার মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিতও রয়েছেন। মোট ৩২৭৬টি বুথে প্রায় ১৪ হাজার ভোটকর্মী দায়িত্বে আছেন আজ। (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে ‘অন্য কারও নির্দেশ’? সন্দীপ ঘোষেরও ‘মাথা’ খুঁজছে সিবিআই?)

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে তদন্ত নিয়ে CJI-এর বড় নির্দেশ, তারপরই নির্যাতিতার বাড়িতে CBI

আজ কাশ্মীর বিভাগের অনন্তনাগ, পুলওয়ামা, শোপিয়ান এবং কুলগাম এবং জম্মু বিভাগের ডোডা, রামবান এবং কিশতওয়ারে প্রথম দফায় ভোট হচ্ছে। সকাল ৭টা থেকে বুথের দরজা খুলে গিয়েছে। শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে। উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের এই নির্বাচন বিজেপির জন্য একটি বড় পরীক্ষা। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার আগে থেকে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি ছিল। পরে রাজ্য ভেঙে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয় জম্মু ও কাশ্মীর। এরপর থেকে দিল্লিরই কাঁধে ছিল জম্মু ও কাশ্মীর শাসনের দায়িত্বভার। তবে গত কয়েকদিন ধরে কাশ্মীরে পরপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন: মুখোমুখি জেরায় আদৌ কোনও ফল মিলছে? আর কতদিন CBI হেফাজতে অভিজিৎ-সন্দীপ?

এবারের ভোটে কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট বেঁধে লড়ছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এদিকে লড়াইতে আছে মেহবুবা মুফতির পিডিপি। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে বিজেপি এবং পিডিপি মিলে জোট সরকার গঠন করেছিল জম্মু ও কাশ্মীরে। পরে সেই সরকার ভেঙে গিয়ে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল। আর রাষ্ট্রপতি শাসন চলাকালীনই জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়। লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। রাজ্যের মর্যাদা ছিনিয়ে নেওয়া হয় জম্মু ও কাশ্মীর থেকে।

এদিকে এই নির্বাচনে ন্যাশনাল কনফারেন্সের ইস্তেহারে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এদিকে কংগ্রেস ৩৭০ ধারা নিয়ে ‘নীরব’। তবে তারা জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইস্তেহারে। এদিকে একলা পথ চলা পিডিপি দাবি করছে, বিজেপি বিরোধী একটি সরকার গঠনে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই নির্বাচনে। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে শেখ আবদু রশিদের আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টি। তারা অনানুষ্ঠানিক ভাবেই ‘নিষিদ্ধ’ জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে কৌশলগত জোটে গিয়েছে।