রাতের হ্যাংওভার কাটাতে সকালে খেতে হবে পেট ভরে জল! এবার প্রমাণিত গবেষণায়

রাতে অতিরিক্ত মদ্যপানের পর সকালে যে হ্যাংওভার হয়, তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকেই অতিরিক্ত জল খেয়ে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি গবেষণা থেকে জানা গেছে, মদ্যপানের পর যে হ্যাংওভার হয় তা জল খেলে কোনও ভাবেই যায় না অর্থাৎ জলের সঙ্গে হ্যাংওভার কাটার কোনও সম্পর্ক নেই।

সম্প্রতি নেদারল্যান্ডের উট্রেখ্ট ইউনিভার্সিটি গবেষকরা তিনটি গবেষণার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে হ্যাংওভার হলে শরীর ডিহাইড্রেশন হয়ে যায় তাই জল পান করতে ইচ্ছা করে কিন্তু হ্যাংওভার হলে যে বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা বা ক্লান্তির মতো সমস্যা তৈরি হয় তা থেকে ন্যূনতম উপশম পাওয়া যায় জল খেলে তবে পুরোপুরি সমস্যার সমাধান হয় না।

(আরও পড়ুন: ডিভোর্সি, মাসে আয় দশ হাজার, আবদার বরের থাকবে মোটা আয়, ঘোরাতে হবে সারা বিশ্ব!)

ডিহাইড্রেশন এবং হ্যাংওভারের লক্ষণ গুলির মধ্যে সম্পর্ক আরও ভালোভাবে বোঝানোর জন্য এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের দুটি দলে বিভক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। প্রথম দলের ব্যক্তিরা ঘুমোতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত জল পান করেছিলেন এবং দ্বিতীয় দলের লোকেরা জল পান করেননি। আশ্চর্যজনকভাবে, দুটি দলের সদস্যদেরই পরের দিন একই মাত্রায় মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব বা ক্লান্তি অনুভূত হয়েছিল। তবে যারা অতিরিক্ত জল পান করেছিলেন তাঁরা কম তৃষ্ণার্ত অনুভব করেছিলেন কারণ তাঁদের শরীর হাইড্রেটেড ছিল।

গবেষণার প্রধান লেখক ডঃ জোরিস ভাস্টার ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ডিহাইড্রেশন হ্যাংওভারের লক্ষণগুলির প্রাথমিক কারণ হতে পারে না আপনি যত বেশি মদ্যপান করবেন আপনার হ্যাংওভার হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। জল পান তৃষ্ণা মেটাবে ঠিকই কিন্তু আপনার হ্যাংওভারের লক্ষণ গুলি কাটাতে সক্ষম হবে না।

(আরও পড়ুন: ৭১ শতাংশ কর্মচারী চিকিৎসার জন্য নিজের পকেট থেকে খরচ করে, চমক রিপোর্টে)

গবেষণা অনুযায়ী, অ্যালকোহল পান করার পর শরীর ডিহাইড্রেশন হয়ে যায় কারণ অ্যালকোহল রক্তচাপ, ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী হরমোন সিস্টেমকে সক্রিয় করে। এই হরমোন সক্রিয়করণ জল এবং ইলেকট্রোলাইটের শূন্যতা তৈরি করে শরীরে, যার ফলে পরের দিন তৃষ্ণা বেড়ে যায় সাধারণ অন্যদিনের থেকে বহুগুণ।

গবেষণা থেকে আরও জানা গেছে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হ্যাংওভারের সমস্যা আরও বেড়ে যায় কারণ লিভারের কার্যকারিতা হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায় যার ফলে শরীর হয়ে যায় অসুস্থ। হ্যাংওভার এড়ানোর জন্য একমাত্র উপায় হল অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা।