পাবনা-৩ আসনের সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের দুই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা

পাবনা-৩ আসনের সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেনের দুই পুত্র গোলাম হাসনাইন রাসেল ও ইবনুল হাসান শাকিলের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত এমপির বড় ছেলে রাসেল ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এমপির ছোট ছেলে শাকিল ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। গত ১৭ সেপ্টেম্বর  পাবনার আমলী আদালতে মামলাটি করেন ভাঙ্গুড়া পৌরশহরের ভদ্রপাড়া মহল্লার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনিসুজ্জামান মিঠু। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেষ্টিগেশনকে (পিবিআই)কে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। 

এছাড়া এই মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান আরিফসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে  আসামি করা হয়।  
শুক্রবার দুপুরে মামলার বাদীর আইনজীবী এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সোহেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ৫ মে বিকেল ৪ টার দিকে এমপি পুত্র রাসেল-শাকিল ও আওয়ামী লীগ নেতা আরিফসহ ৭-৮ জন অজ্ঞাত পরিচয় লোক ব্যবসায়ী মিঠুকে অস্ত্রের মুখে পৌরশহরের বড়াল বেইলিব্রীজের পূর্ব পাড় থেকে অপহরণ করে। পরে অভিযুক্তরা আরিফের বাড়ির একটি নির্জন কক্ষে তাকে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। এসময় মুক্তিপণ হিসেবে ব্যবসায়ী মিঠুর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। পরে ১২ লাখ টাকা দিয়ে তাদের কাছ থেকে মুক্তি পান  তিনি। এঘটনায় কোন মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তরা তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন।

মামলার বাদী আনিছুজ্জামান মিঠু জানান, এমপি পুত্রদের কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকি থাকায় এতোদিন তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারেননি। তাই গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে পাবনার বিজ্ঞ আমলী আদালতে  মামলাটি দায়ের করেন তিনি। আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন সোহেল বলেন, ব্যবসায়ী মিঠু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন। বিজ্ঞ  আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। 

এ বিষয়ে পিবিআইয়ের এসআই তুহিন বলেন, আদালত থেকে এই মামলার কোন নথি তাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি।

এ ব্যাপারে ৫ আগষ্ট থেকে আত্মগোপনে থাকা গোলাম হাসনায়েন রাসেল এর ব্যক্তিগত সংযোগ (০১৭১৩-৩৩৫৯২২,০১৭৬৭-০০২০৩০) এবং ইবনুল হাসান শাকিলের ব্যক্তিগত সংযোগ (০১৭১৬-১২৪৫৭৬) নম্বরে যোগাযোগ করা হলে দুটি সংযোগ বন্ধ পাওয়া যাবার কারণে তাদের বক্তব্য গ্রহন করা সম্ভব হয়নি।



সালাউদ্দিন/সাএ